অটোরিকশা থেকে নামিয়ে নারীকে দলবেঁধে নিপীড়ন
যুগান্তর রিপোর্ট, ভোলা
প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৩:০৬ এএম
ফাইল ছবি
ভোলার দৌলতখান উপজেলায় অটোরিকশা থেকে নামিয়ে হাত-পা ও মুখ বেঁধে এক নারীকে (৩৫) দলবেঁধে নিপীড়নের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার রাত ৯টার দিকে উপশহর বাংলাবাজার এলাকার হালিমা খাতুন কলেজের পেছনে এ ঘটনা ঘটে।
নিপীড়নের শিকার ওই বিধবা নারীকে অচেতন অবস্থায় রাতেই ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে ঘটনার পর পরই অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। রাতেই থানা ও ডিবি পুলিশের একাধিক দল হাসপাতালে এসে নির্যাতিত ওই নারীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
নিপীড়নের শিকার ওই নারী জানান, বাংলাবাজারে একটি ক্লিনিকের কর্মী হিসেবে কাজ করেন তিনি। রোগীর খবর নিতে তিনি সন্ধ্যায় মিয়ারহাট এলাকায় যান।
রাত সাড়ে ৮টার দিকে মিয়ারহাট থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় তিনি একাই বাংলাবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হন। অটোরিকশাটি হালিমা খাতুন কলেজের সামনে এলে চালক কেনাকাটার জন্য পার্শ্ববর্তী একটি দোকানে যান।
এ সুযোগে কলেজের সামনে থাকা সোহাগ ও মনজুরসহ চার যুবক হাত-পা বেঁধে তাকে জোরপূর্বক কলেজের পেছনে নিয়ে নিপীড়ন করেন। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে মুখের বাঁধন খুলে গেলে তিনি চিৎকার করতে করতে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।
পরে আশপাশের লোকজন এলে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।
স্থানীয় দোকানদার মো. সাহিদুল সরকার জানান, চিৎকার শুনে কলেজের ভেতরে গিয়ে অজ্ঞান অবস্থায় ওই নারীকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে ধর্ষকরা কলেজের পেছন দিয়ে পালিয়ে যায়।
অটোচালক গিয়াস উদ্দিন জানান, তিনি চিপস কিনতে পাশের একটি দোকানে যান। পরে চিৎকার শুনে দৌড়ে এসে দেখেন কলেজের মধ্যে ওই নারী পড়ে আছে।
ভোলা সদর হাসপাতালের গাইনি বিভাগের সিনিয়র স্টাফ নার্স দেবি মল্লিক জানান, ওই নারীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে।
হাসপাতালের সহকারী সার্জন ডা. গোলাম রাব্বী জানান, রোগীকে সুস্থ করার জন্য তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। সকালে বোর্ড বসিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৌলতখান থানার ওসি (তদন্ত) সাদেকুর রহমান জানান, এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। রোগীর চিকিৎসা নিশ্চিত করার পাশাপাশি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে।