Logo
Logo
×

সারাদেশ

বন্ধ হয়েছে সেই কূপ থেকে বালু-গ্যাস নির্গমন, কোটি টাকার ক্ষতি (ভিডিও)

Icon

যুগান্তর রিপোর্ট

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০২:৩৩ পিএম

বন্ধ হয়েছে সেই কূপ থেকে বালু-গ্যাস নির্গমন, কোটি টাকার ক্ষতি (ভিডিও)

অবশেষে বন্ধ হয়েছে সেই কূপ থেকে পানির সঙ্গে বালু ও গ্যাস নির্গমন। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় বালু ও গ্যাস নির্গমন বন্ধ হয়।  

গত তিন ধরে একটি বিদ্যালয়ের আঙিনায় খনন করা একটি কূপ থেকে পানির সঙ্গে বালু ও গ্যাস নির্গমন হচ্ছিল।

তবে গ্যাস নির্গমন বন্ধ করতে গিয়ে এ তিন দিনে প্রায় এক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

নতুন করে আর গ্যাস নির্গমন না হলে আগামীকাল থেকে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম স্বাভাবিক হবে বলে জানিয়েছেন তারা।

গত ২ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বিদ্যানগর গ্রামের শেরে বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা করতে নতুন নলকূপ বসানোর কাজ শুরু হয়।

কূপ খননের পর গত ৫ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে হঠাৎ করে বিকট শব্দ শুনতে পায় শিক্ষার্থীরা।  এরপর সবাই দৌড়ে কূপে কাছে গিয়ে দেখে এর ভেতর থেকে তীব্র বেগে অনবরত পানির সঙ্গে বালু ও গ্যাস বের হতে শুরু করে।

এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য এলাকায় মাইকিং করা হয়। যে কোনো সময় ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটনার আশঙ্কায় আশপাশের লোকজনদের রান্নাবান্না বন্ধ করে দেয়া হয়।

উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে স্থানীয়দের জন্য শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়।

শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে বিদ্যালয়টি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে লাল নিশান টানিয়ে দেয়া হয় এর চারপাশে।

এদিকে তিন ধরেই ওই কূপ দিয়ে গ্যাস ও বালু দ্রুতগতিতে গ্যাস বের হওয়ার কারণে বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর ও দুটি গাছ ভেঙে গেছে। অর্ধেক মাটির নিচে তলিয়ে যায় বিদ্যালয়ের একটি ভবন।

এসব ঘটনার বর্ণনা দিয়ে শেরে বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আল মামুন ভূইয়া বলেন, বালু ও গ্যাস নির্গমন বন্ধ হয়েছে। তবে এখনও আতঙ্ক কাটছে না। এদিকে এই ঘটনায় বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীরের দেয়াল ধসে গেছে। শহীদ মিনার ও ভবন দেবে গেছে। সবকিছু মিলিয়ে প্রায় এক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

তিনি বলেন, নতুন করে আর বালু ও গ্যাস না বের হলে সবকিছু পরিষ্কার করে রোববার থেকে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু করব।  

আপাতত বালু ও গ্যাস নির্গমন বন্ধ রয়েছে জানিয়ে কসবার সালদা গ্যাস ফিল্ডের প্ল্যান্ট অপারেটর রেজাউল করিম জানান, এখন পরিস্থিতি একেবারে শান্ত। কূপের পানি কয়েক ফুট নিচে নেমে গেছে।

শুক্রবার দিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌল্লা খান, বাপেক্সের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মো. আলমগীর হোসেন, কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান রাশেদুল কাউছার ভূঁইয়া, কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদ উল আলম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।

বাপেক্সের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মো. আলমগীর হোসেন বলেছিলেন, আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করতে হবে। যেহেতু এটি গ্যাসের বিষয় তা আমাদের সাবধান থাকতে হবে। বিড়ি-সিগারেটসহ যে কোনো আগুন লেগে গেলে ভয়াবহ ক্ষতি হতে পারে।

সমস্যাটি সমাধানের বিষয়ে সালদা গ্যাস ক্ষেত্রের উপমহাব্যবস্থাপক মো. মহি উদ্দিন বলেছেন, গ্যাস ও পানি প্রবাহিত হওয়া বন্ধ করার কোনো যন্ত্রপাতি তাদের কাছে নেই। তারা শুধু গ্যাস উৎপন্ন করতে পারেন। বিষয়টি দেখবে বাপেক্স বা পেট্রোবাংলা।

কূপ দিয়ে গ্যাস ও বালু নিগর্মনের সেই ভিডিওটি দেখুন -

 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম