ঘুষের টাকা ফেরত দিয়েও পার পেলেন না এসআই

পাবনা ও ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০২০, ০৯:২৪ পিএম

এসআই মিন্টু। ছবি: সংগৃহীত
আন্দোলনের মুখে ঘুষের টাকা ফেরত দেয়ার পর পাবনার ফরিদপুর থানার এসআই মিন্টু দাসকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে পাবনা পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে।
বুধবার রাত ৯টার দিকে তাকে পাবনা পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়।
অভিযোগে জানা গেছে, ফরিদপুর উপজেলার ফরিদপুর গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে সৌদি প্রবাসী মুন্নাফ (২৮) ও একই গ্রামের মৃত শামছুল হকের ছেলে মালয়েশিয়া প্রবাসী রাসেলকে (৩৪) মাদক সেবনের অভিযোগে ফরিদপুর থানার এসআই মিন্টু দাস গত সোমবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার করে থানা হেফাজতে নিয়ে আসেন।
রাতে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে গ্রেফতারকৃতদের ছেড়ে দেয়া হবে মর্মে তাদের স্বজনদের কাছ থেকে দু’দফায় ১০ হাজার টাকা করে ২০ হাজার টাকা গ্রহণ করেন। মঙ্গলবার দুপুর ১টায় মুন্নাফ ও রাসেলকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাদের ৭ দিনের কারাদণ্ড প্রদান করেন।
এতে তাদের আত্মীয়-স্বজন ক্ষিপ্ত হয়ে বিক্ষোভ শুরু করে এবং উপজেলায় ইএনও’র সিএ-এর রুমে মিন্টুকে অবরুদ্ধ করে রাখে।
খবর পেয়ে ফরিদপুর থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে। এ সময় রাসেলের চাচা মুনসুর এসআই মিন্টু দাসকে তাৎক্ষণিক ঘুষের টাকা ফেরত দিতে বলেন। কিন্তু এসআই মিন্টু থানায় গিয়ে টাকা ফেরত দিতে চাইলে উপস্থিত সবাই আরও বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়ে।
একপর্যায়ে ২০ হাজার টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হন তিনি। গ্রেফতারকৃত রাসেলের মা সুজাতা জানান, আমার ছেলে ৫ দিন আগে বিদেশ থেকে আসছে। তাকে টাকার জন্য পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। এসআই মিন্টু আমার ছেলেকে ছেড়ে দেয়ার কথা বলে ২০ হাজার টাকা নিয়েছে। এ ঘটনার পর এসআই মিন্টু দাসকে ফরিদপুর থানা থেকে প্রত্যাহার করে পাবনা পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়।
ওসি এসএম আবুল কাশেম আজাদ বলেন, এসআই মিন্টুকে তদন্তসাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এলাকাবাসী জানান, এসআই মিন্টু দাসের বিরুদ্ধে এর আগেও ঘুষ গ্রহণের একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
এ ব্যাপারে এসআই মিন্টু দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি মাদকের বিরুদ্ধে কাজ করছি। এ জন্য ক্ষুব্ধ হয়ে আমার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তোলা হয়েছে।