নিজের বিয়ের মিষ্টি কিনতে গিয়ে হারানো মানিব্যাগ ফেরত দিল ডিবি
রাজবাড়ী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০ জানুয়ারি ২০২০, ১০:১৩ এএম
ডিবি অফিসে ডেকে নিয়ে বিদ্যুৎ চন্দ্র মণ্ডলের হারিয়ে যাওয়া মানিব্যাগ ফেরত দেয়া হয়
রাজবাড়ীতে বিদ্যুৎ চন্দ্র মণ্ডল (২৪) তার নিজের বিয়ের মিষ্টি কিনতে গিয়ে মানিব্যাগ হারিয়ে ফেলেন। সিসি ক্যামেরায় দেখে ওই ব্যাগটি উদ্ধার করে দিল ডিবি পুলিশ।
বিদ্যুৎ চন্দ্র মণ্ডল রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার কেউটিল গ্রামের বিমল চন্দ্র মণ্ডলের ছেলে। তিনি ঢাকাস্থ কর কমিশনারের কার্যালয়ের উচ্চমান সহকারী পদে কর্মরত।
সোমবার বিকালে রাজবাড়ী শহরের জজ বাংলো মোড় বরাবর চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে অসাবধানতাবশত: তার মানিব্যাগটি পড়ে যায়। রাজবাড়ী ডিবি পুলিশের ওসি মো. ওমর শরীফ ও ইন্সপেক্টর মো. জিয়ারুল ইসলামের নজরে আসে। সঙ্গে সঙ্গে ডিবি সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মানিব্যাগটি উদ্ধার করেন।
চেষ্টা চলে ব্যাগের মালিক খোঁজার অন্বেষণের। পরে সিসি ক্যামেরায় ভিডিও ফুটেজ সনাক্ত করে মানিব্যাগের মালিককে সনাক্ত করে খবর দিয়ে ফোন করে ডিবি অফিসে নিয়ে এসে তার মানিব্যাগটি ফেরত দেয়া হয়।
বিদ্যুৎ চন্দ্র মণ্ডল জানান, আমি বিয়ে করতে আমার নিজ বাড়ি রাজবাড়ী জেলার কেউটিল গ্রামে আসি। সোমবার দুপুরে রাজবাড়ীতে বিয়ের মিষ্টি কিনতে গিয়ে রাজবাড়ী জেলা শহরের জজ বাংলো মোড় বরাবর আমার মানিব্যাগটি মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যায়। ৫ মিনিট পর একটা ফোন পেয়ে জানতে পারি আমার হারানো মানিব্যাগটি পাওয়া গেছে।
রাজবাড়ীর ডিবি পুলিশের ওসি মো. ওমর শরীফ ও ইন্সপেক্টর মো. জিয়ারুল ইসলামের সহযোগিতায় রাজবাড়ী পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমানের মাধ্যমে মানিব্যাগে থাকা ১০ হাজার টাকা ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি ফেরত দেয়া হয়।
রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, মুজিববর্ষের অঙ্গীকার, পুলিশ হবে জনতার। এই স্লোগানকে ধারণ করে আমরা জনগণকে সেবা দিয়ে যাচ্ছি। তার জ্বলন্ত প্রমাণ বিদ্যুৎ চন্দ্র মণ্ডল। তার হারানো মানিব্যাগটি দ্রুত সময়ের মধ্যে পেয়ে উদ্ধার করে তার হাতে তুলে দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৫ জানুয়ারি ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অংশ হিসাবে রাজবাড়ী জেলা শহরে ৭২টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। জেলা পুলিশের উদ্যোগে স্থাপিত ক্যামেরাগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান। উদ্বোধনের কয়েকদিন পরেই সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে বিদ্যুৎ চন্দ্র মণ্ডল তার নগদ ১০ হাজার টাকাসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ফিরে পান।