রাতে মোমবাতির আলোতে চলছে চাকরির নিয়োগ পরীক্ষা

নাজিরপুর (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৮ জানুয়ারি ২০২০, ০৯:১৫ পিএম

মোমবাতির আলোয় নিয়োগ পরীক্ষা। ছবি: যুগান্তর
পিরোজপুরের নাজিরপুরে মোমবাতির আলোতে নেয়া হয় ২টি বিদ্যালয়ের নিয়োগ পরীক্ষা। বুধবার রাতে উপজেলা সদরের বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের দোতলার হলরুমে চলে উপজেলার পঞ্চগ্রাম সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কম্পিউটার অপারেটর-কাম-অফিস সহকারী পদে আর একই ভবনের নিচে থাকা প্রধান শিক্ষকের ভবনে চলে উপজেলার কবিরাজ বাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষকের নিয়োগ পরীক্ষা। ওই ভবনের দোতলায় ছিল না কোনো বিদ্যুৎ সংযোগ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সেখানে উপজেলার পঞ্চগ্রাম সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কম্পিউটার অপারেটর-কাম-অফিস সহকারী পদে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ১০ জন পরীক্ষার্থীকে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়। এ সময় সেখানে উপজেলা শিক্ষা অফিসের এক কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।
তারা জানান, সন্ধ্যার পরে এর লিখিত পরীক্ষা শুরু করা হয়। বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় মোমবাতির আলোতে পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পরীক্ষায় অংশ নেয়া একাধিক প্রার্থী অভিযোগ করে জানান, ওই বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সুবিধামতো প্রার্থী না পাওয়ায় বারবার এ নিয়োগ পরীক্ষা পিছিয়ে দেয়া হয়। আর এ নিয়োগ পরীক্ষার জন্য প্রার্থীদের দেয়া হয়নি কোনো সাক্ষাৎকার কার্ড।
অভিযোগ রয়েছে, একাধিকবার ওই পদের জন্য বিজ্ঞপ্তি আহ্বান করে ইতিপূর্বে একাধিকবার উদ্দেশ্যমূলকভাবে এর সাক্ষাৎকারের তারিখও পিছিয়ে দেয়া হয়েছে।
ওই পদে আবেদনকারী মো. শফিকুল ইসলাম অভিযোগ করে জানান, আবেদনের পর ২ বার এর সাক্ষাৎকারের জন্য মোবাইলে এসএমএস পাঠানো হয়।
তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে মোবাইলে মেসেজের মাধ্যমে এ সাক্ষাৎকারের ব্যাপারে জানানো হয়। এই শীতের মধ্যে পরীক্ষার আগের রাতের খবরে ঢাকা থেকে আসা অসম্ভব বলে পরীক্ষা দিতে আসতে পারিনি।
এ দিকে ওই রাতে একই সময় ওই বিদ্যালয়ের একই ভবনের নিচতলায় প্রধান শিক্ষকের কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় উপজেলার কবিরাজ বাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক পদের মৌখিক পরীক্ষা।
ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রণজিৎ বৈরাগী জানান, পরীক্ষার সময় দেয়া হয়েছিল দুপুরে। কিন্তু সাক্ষাৎকার বোর্ডের কর্মকর্তারা আসতে দেরি করায় এ ঘটনা ঘটেছে।
তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সেখানে পরীক্ষা চলার কারণে কবিরাজ বাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ২টি বিদ্যালয়ের নিয়োগ পরীক্ষার বিষয়ে জানতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. মাহিদুল ইসলামের মোবাইলেও একাধিকবার ফোন দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।