Logo
Logo
×

সারাদেশ

কালীগঞ্জে নতুন বই দিতে টাকা নেয়ায় প্রধান শিক্ষককে শোকজ

Icon

কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারি ২০২০, ১০:৩৮ পিএম

কালীগঞ্জে নতুন বই দিতে টাকা নেয়ায় প্রধান শিক্ষককে শোকজ

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বছরের প্রথম দিনের বই উৎসবে সেশন ফি ও উন্নয়ন ফি নেয়ার অজুহাতে টাকা নেয়ার অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে।

জানা গেছে, সরকার কর্তৃক প্রদত্ত বিনামূল্যেও বই নিতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেয়া হয়েছে। এই টাকাগুলো সেশন ফি ও উন্নয়ন ফির অজুহাতে নেয়া হয়েছে। টাকা দিতে না পারায় বই না নিয়েই খালি হাতে ফিরতে হয়েছে তাদের। এ নিয়ে স্থানীয় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

এ নিয়ে দৈনিক যুগান্তরে গত ৫ জানুয়ারি ‘কালীগঞ্জে বিনামূল্যের বই বিতরণে টাকা নিচ্ছেন প্রধান শিক্ষক’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর টনক নড়ে স্থানীয় প্রশাসনের।

এর পরের দিন ৬ জানুয়ারি কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুবর্ণা রানী সাহা ওই বিদ্যালয়ে যান এবং সব শিক্ষার্থীর বই প্রদান নিশ্চিত করেন। 

মঙ্গলবার এ ঘটনার অনুসন্ধানে বিদ্যালয়ে যান এই প্রতিবেদকসহ কয়েকজন গণমাধ্যম কর্মী। তাদের সঙ্গেও অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন প্রধান শিক্ষক চিত্তরঞ্জন পাল। প্রথম দিকে বক্তব্য দিতে নারাজ থাকলেও পরে তিনি বক্তব্য দিতে রাজি হন। 

শাহজাহান আলী নামের এক অভিভাবক বলেন, আমার মেয়েকে প্রথমে বই দেয়া হয়নি। সে কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি এসে বলে ২৫০ টাকা না দিলে বই দিবে না। এরপর আমি নিজে স্কুলে গিয়ে টাকা দেয়ার পর আমার মেয়েকে বই দিয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক অভিভাবক বলেন, সরকার যেখানে বিনামূল্যে বই প্রদান করছে, সেখানে টাকা নিয়ে বই দেয়ার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে। এটা সরকারবিরোধী কাজ।

একাধিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাদের অনেকে টাকা না দেয়ায় বই না পেয়ে বাড়ি চলে যান। এরপর বাড়ি থেকে টাকা এনে বই নেয়। ২০০ থেকে ২৫০ টাকা করে বই বাবদ টাকা নেয়া হয়।    

অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক চিত্তরঞ্জন পাল এর আগে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, বার্ষিক সেশন ফি বাবদ টাকা নেয়া হচ্ছে। আর কাউকে টাকা ছাড়া বই দেয়া হয়নি সেটা আমার জানা নেই।

তবে মঙ্গলবার তিনি টাকা নিয়ে বই দেয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেন।  

এ ব্যাপারে স্কুলটির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সূবর্ণা রানী সাহা জানান, এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে কমিটির সংখ্যা ও নাম প্রকাশ করতে তিনি রাজি হননি। প্রধান শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে। ২-১ দিনের মধ্যে তিনি শোকজটি হাতে পাবেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম