৬ মাসে কোরআনের হাফেজ ঝালকাঠির বায়েজিত, দেড় বছরে জোবায়ের-ফারুক
![Icon](https://cdn.jugantor.com/uploads/settings/icon_2.jpg)
ঝালকাঠি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৩:০৩ পিএম
![৬ মাসে কোরআনের হাফেজ ঝালকাঠির বায়েজিত, দেড় বছরে জোবায়ের-ফারুক](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2019/12/30/image-261455-1577697306.jpg)
মো. বায়েজিত, জোবায়ের মোত্তাকিন ও ওমর ফারুক। ছবি: যুগান্তর
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলায় ছয় মাসে পুরো কোরআন মুখস্থ করে বিস্ময় সৃষ্টি করেছে বায়েজিত নামে এক শিশু। এছাড়া আরও দুই শিশু দেড় বছরে কোরআনের হাফেজ হয়েছেন।
কোরআনের ওই তিন হাফজ হলো- রাজাপুর উপজেলার আলগী গ্রামের মো. বায়েজিত, একই উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের জোবায়ের মোত্তাকিন এবং ঝালকাঠি সদর উপজেলার রাজপাশা গ্রামের ওমর ফারুক। এদের প্রত্যেকের বয়স ১০ বছর।
এর মধ্যে বায়েজিত ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলার দারুল উলুম কওমিয়া মাদ্রাসার ছাত্র। বায়েজিত মাত্র ছয় মাসে পুরো কোরআন মুখস্ত করে হাফেজ হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেছে। কোরআন মুখস্ত করার আগে সে মাত্র দেড় বছর সময় নিয়ে কোরআন দেখে দেখে, সহিহ-শুদ্ধভাবে তিলাওয়াত করা শেখে।
এদিকে ১০ বছর বয়সী এ হাফেজ কোরআনের শিক্ষক কারি মো. বেলায়েত হোসেন।
তিনি বলেন, বায়েজিত নাজেরা পড়া শেষ করে শুরুর দিকে ২ পৃষ্ঠা করে কোরআন মুখস্ত করতে থাকে। পরে সে ৭/৮ পৃষ্ঠা করে মুখস্ত করা শুরু করে। এভাবে সে পুরো কোরআন মুখস্ত করে ফেলে। এখন সে সকালে আধা পারা (১০ পৃষ্ঠা), বিকালে আধা পারা করে মোট এক পারা কোরআন পাঠ করে শোনায়।
বায়েজিতের বাবা মো. সাইদুল ইসলাম একজন চাকরিজীবী। তিনি ঝালকাঠি পৌরসভার সহকারী কর নির্ধারক এবং মা গৃহিণী শিরীন সুলতানা।
এছাড়া দেড় বছরে কোরআন মুখস্ত করে হাফেজ হয়েছেন একই উপজেলার নারিকেলবাড়িয়া গ্রামের নুরুল ইসলামিয়া দ্বিনিয়া হাফেজি মাদ্রাসা থেকে মো. জোবায়ের খান মুত্তাকিন।
সে ঝালকাঠি সদর উপজেলার শেখেরহাট ইউনিয়নের রাজপাশা গ্রামের কৃষক জামাল উদ্দিন খানের ছেলে। তার মা গৃহিণী মরিয়ম বেগম।
অপরজন মো. ওমর ফারুক হাওলাদার রাজাপুরের মনোহরপুর গ্রামের বেসরকারি চাকরিজীবী মো. শফিকুল ইসলামের ছেলে। তার মা গৃহিণী মাহমুদা বেগম।
মাদ্রাসার পরিচালক হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ জানান, জোবায়ের খান মুত্তাকিন ২০১৮ সালের জুলাই মাসে ভর্তি হয়ে নাজেরা থেকে ছবক (পাঠগ্রহণ) শুরু করে চলতি বছরের ২৫ নভেম্বর শুনানি করে হাফেজ হয়েছে।
মো. ওমর ফারুক হাওলাদার ২০১৮ সালের মে মাসে ভর্তি হয়ে নাজেরা থেকে ছবক (পাঠগ্রহণ) শুরু করে চলতি বছরের ২৫ নভেম্বর শুনানি করে হাফেজ হয়েছে। তাদের জন্য মাদ্রাসা থেকে দোয়া করা হয়েছে।
ঝালকাঠি কুতুবনগর আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল মান্নান বলেন, যারা কোরআন মুখস্ত করেন, তাদের কোরআনের হাফেজ বা হাফেজে কোরআন বলা হয়। কোরআন শুধু সর্বাধিক পঠিতই নয়, বরং মুখস্তকরণের দিক থেকেও কোরআন রয়েছে শীর্ষে।
কোরআন যত মানুষ মুখস্ত করেছে, পৃথিবীর আর কোনো গ্রন্থ কেউ হুবহু মুখস্ত করেনি। পৃথিবীতে প্রায় ১ কোটি হাফেজে কোরআন রয়েছেন।