Logo
Logo
×

সারাদেশ

অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে বৃদ্ধ, রংপুরে রাস্তায় ফেলে পালাল চালক

Icon

রংপুর ব্যুরো

প্রকাশ: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৮:৪০ পিএম

অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে বৃদ্ধ, রংপুরে রাস্তায় ফেলে পালাল চালক

রংপুরের বদরগঞ্জে অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব হারিয়েছেন নাইম হোসেন নামে এক বৃদ্ধ।

রোববার দুপুরের দিকে রংপুর থেকে ছেড়ে আসা পার্বতীপুরগামী একটি যাত্রীবোঝাই বাসে খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে তার টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়। কিন্তু বাসের চালক অজ্ঞান অবস্থায় ওই যাত্রীকে বদরগঞ্জ পৌর শহরের সিও রোড এলাকায় সড়কের পাশে ফেলে পালিয়ে যায়।

এ সময় স্থানীয়দের সহায়তায় ওই বৃদ্ধকে উদ্ধার করে প্রথমে বদরগঞ্জ হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

প্রথমে ওই বৃদ্ধের পরিচয় না মিললেও পরে জানা গেছে, তার নাম নাইম হোসেন। বাড়ি রংপুর মহানগরীর খামারপাড়া এলাকায়।

এলাকাবাসী জানান, রোববার দুপুরের দিকে রংপুর থেকে ছেড়ে আসা একটি যাত্রীবাহী বাস থেকে অজ্ঞান অবস্থায় অজ্ঞাত এক ব্যক্তিকে বদরগঞ্জ পৌর শহরের সিও রোড এলাকায় রাস্তা পাশে ফেলে দিয়ে একটি বাস পার্বতীপুর চলে যায়। এ সময় স্থানীয়রা ঘটনাটি দেখতে পেয়ে রাস্তা থেকে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করেন।

পরে তাকে বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। কিন্তু সেখানেও তার প্রাথমিক চিকিৎসা মেলেনি। দীর্ঘ সময় ভ্যানের ওপর পড়ে ছিলেন তিনি।

এ সময় সাগির ও সাইদ নামে দুই ব্যক্তি তাকে শনাক্ত করে জানতে পারেন তার বাড়ি রংপুরে। স্বজনদের খবর দেয়া হয়। পরে তাদের সহায়তায় অ্যাম্বুলেন্সযোগে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি সেখানে মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ধারণা করা হচ্ছে, নাইম হোসেন বদরগঞ্জ হাটে গরু কেনার জন্য রংপুরে বাসে ওঠেন। তার কাছে টাকা আছে বিষয়টি জানতে পেয়ে অজ্ঞানপার্টির সদস্যরা তার পিছু নেয়।

রংপুর খামার এলাকার প্রতিবেশী ফিরোজ হোসেন নামে এক ব্যক্তি বলেন, নাইম হোসেন বাবুর্চির কাজ করেন। সম্ভবত তিনি টাকা নিয়ে বাসযোগে বদরগঞ্জ হাটে গরু কেনার জন্য যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে অজ্ঞানপার্টির সদস্যরা তাকে খাবারের সঙ্গে কিছু মিশিয়ে অজ্ঞান করে তার টাকা-পয়সা নিয়ে যায়।

বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) নাজমুল হোসেন জানান, কে বা কারা ওই রোগীকে হাসপাতালের নিয়ে আসেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম