Logo
Logo
×

সারাদেশ

তানোরে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ছাদে গাঁজা চাষ!

Icon

তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০১৯, ১১:৫৯ এএম

তানোরে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ছাদে গাঁজা চাষ!

গাঁজা গাছসহ আটক উপজেলার বাধাইড় ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কেয়ারটেকার ফারুক হোসেন

রাজশাহীর তানোর উপজেলার বাধাইড় ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ছাদের ওপর টপে লাগানো গাঁজা গাছ উদ্ধার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকালে স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে গাঁজার গাছগুলো উদ্ধার করেন মুণ্ডুমালা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ।

গাঁজা গাছ লাগানোর অপরাধে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে অস্থায়ী কেয়ারটেকারকে গ্রেফতার করা হয়। সেই সঙ্গে ফাঁড়িতে আনা হয় ফার্মাসিস্ট আমিনুল ইসলামকেও।

তবে কেয়ারটেকার ফারুক হোসেনকে গ্রেফতার দেখানো হলেও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বপ্রাপ্ত ফার্মাসিস্ট আমিনুল ইসলামকে কয়েক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার সময় ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এলাকাবাসী ৯৯৯ নম্বরে কল করে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ছাদে গাঁজা চাষ হচ্ছে এমন অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তানোর থানার মুণ্ডুমালা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ মঙ্গলবার সরেজমিন গিয়ে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ছাদে ফুলের টপে গাঁজার গাছ চাষের সত্যতা পান। পরে গাঁজার গাছসহ অস্থায়ী কেয়ারটেকার জুমারপাড়া গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে ফারুক হোসেনকে (২৫) আটক করে ফাঁড়িতে আনা হয়।

এলাকাবাসী জানান, কেয়ারটেকার ফারুক একজন গাঁজা ব্যবসায়ী। দীর্ঘদিন ধরে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ছাদে সে গাঁজা চাষ করে আসছে। এখানে গাঁজা বিক্রি করে যে আয় হয় তার একটি অংশ ভাগ পান ফার্মাসিস্ট আমিনুলও। অথচ তাকে আটক না করে ছেড়ে দিলেন পুলিশ।

বাধাইড় ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ফার্মাসিস্ট আমিনুল ইসলাম বলেন, গাঁজা চাষের বিষয়টি তিনি জানতেন না।

তিনি কোনো মতে জড়িত নয় দাবি করে বলেন, পুলিশ তদন্ত করলে সঠিক তথ্য বেরিয়ে আসবে।

তানোর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফয়সাল আহম্মেদ বলেন, বাধাইড় ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ছাদে গাঁজা চাষ হচ্ছে বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অভিহত নন। তবে কেয়ারটেকার ফারুককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ওখানকার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা যদি জড়িত থাকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তানোর থানা ওসি দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিদর্শক (তদন্ত) রাকিবুল হাসান জানান, কেয়ারটেকার ফারুকের বিরুদ্ধে মামলার রুজু করা হয়েছে। ফার্মাসিস্ট আমিনুল ইসলামের জড়িত থাকার বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। কেয়ারটেকার ফারুকের সঙ্গে যদি অন্য কাউকে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায় তবে তার বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম