এমপিওভুক্তির দাবিতে বেসরকারি অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের মানববন্ধন
যশোর ব্যুরো
প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০১৯, ১১:২১ এএম
বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফোরাম যশোর শাখার মানববন্ধন
জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০১৮ তে অন্তর্ভুক্ত করে এমপিওভুক্তির দাবিতে মানববন্ধন ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফোরাম যশোর শাখা।
মঙ্গলবার দুপুরে প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। পরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ করা হয়।
মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. মোস্তাফিজুর রহমান, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি যশোরের সভাপতি হারুন অর রশিদ, জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সহ-সভাপতি অধ্যাপক সুকুমার দাস, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহমুদ হাসান বুলু, উপশহর কলেজের অধ্যক্ষ শাহিন ইকবাল, যশোর কলেজের অধ্যক্ষ মোস্তাক হোসেন শিম্বা।
বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফোরাম যশোর শাখার আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক রওশন আরা পলি, সদস্য সচিব জসিম উদ্দিন প্রমুখ।
শিক্ষক নেতারা বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত বেসরকারি কলেজ সমূহে অনার্স-মাস্টার্স কোর্সে পাঠদানরত শতভাগ বৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকরা দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে বাংলাদেশে উচ্চ শিক্ষা বিস্তারে এবং সরকারের জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ এর অধ্যায় ৮, কৌশল ৬ এর বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছেন। কিন্তু বর্তমানে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১০ ও ২০১৮ তে অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে এই সকল বেসরকারি কলেজসমূহে অনার্স-মাস্টার্স কোর্সের শিক্ষকদের বিষয়ে কোনো নির্দেশনা না থাকায় আমরা এমপিওভুক্ত হতে পারছি না।
ফলে যশোর জেলার ২৫টি বেসরকারি এমপিওভুক্ত কলেজে বর্তমানে প্রায় ২৫০জন শিক্ষকসহ সারাদেশে ২৩২টি কলেজের প্রায় তিন হাজার ৫০০ জন শিক্ষক মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
সদ্য জাতীয়করণকৃত ৩২১টি কলেজের মধ্যে ২৬৮টি কলেজের একইভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত ৩ হাজার ১০০ জন অনার্স মাস্টার্সের শিক্ষককে জাতীয়করণের আওতায় আনা হয়েছে। অথচ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত বেসরকারি কলেজসমূহের অনার্স-মাস্টার্স কোর্সে বৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকগণকে ‘জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ তে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
অবিলম্বে ‘জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮’ তে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান শিক্ষক নেতারা।