
তেল নিতে পেট্রল পাম্পে মোটরসাইকেলের ভিড়
কমিশন বৃদ্ধিসহ ১৫ দফা দাবিতে পেট্রল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ও ট্যাঙ্কলরি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট স্থগিত করা হয়েছে।
ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিন সোমবার দুপুর ২টার দিকে এই ঘোষণা দেয়ার পর পরই রাজশাহীর পেট্রল পাম্পগুলোতে যানবাহনের ঢল দেখা গেছে।
এর আগে রোববার থেকে রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগে পেট্রল পাম্প ধর্মঘট শুরু হয়। এতে বিপাকে পড়েন রাজশাহীর গাড়ির মালিকরা। সড়কে কমে আসে যানবাহনের সংখ্যা।
তবে সোমবার দুপুর থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। এ দিন দুপুর থেকেই যানবাহনগুলো তেল সংগ্রহ করতে শুরু করে।
সোমবার বেলা ৩টার দিকে পাম্পে সবচেয়ে বেশি ভিড় দেখা গেছে মোটরসাইকেলের।
পেট্রল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের রাজশাহী জেলার সভাপতি মনিমুল হক জানান, ঢাকায় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) সঙ্গে তাদের নেতাদের বৈঠক হয়। সেখানে কমিশন বৃদ্ধির দাবি মেনে নেয়া হয়েছে। অন্য ১৪টি দাবির বিষয়ে দুটি মন্ত্রণালয়ের যৌথসভা হতে হবে। তাই সরকারের তরফ থেকে কয়েকদিন সময় নেয়া হয়েছে। এ জন্য ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত তারা ধর্মঘট স্থগিত করেছেন।
রাজশাহী নগরীর শালবাগান এলাকার আলম ফিলিং স্টেশনের সেলসম্যান মুরাদ হোসেন জানান, ধর্মঘট শুরুর দিনের আগের রাতে তেল নেয়ার জন্য পাম্পে যানবাহনের সংখ্যা অস্বাভাবিক বেড়ে গিয়েছিল। আবার ধর্মঘট স্থগিতের পরও একই অবস্থা।
গত ২৬ নভেম্বর জ্বালানি তেল বিক্রির কমিশন এবং ট্যাঙ্কলরি ভাড়া বাড়ানোসহ ১৫ দফা দাবি ৩০ নভেম্বরের মধ্যে মেনে নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল পেট্রল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ও ট্যাঙ্কলরি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। কিন্তু সরকারের সাড়া না পেয়ে ১ ডিসেম্বর থেকে ধর্মঘট শুরু করেছিল এ দুটি সংগঠন।