ফেসবুকে ছবি, দাউদকান্দিতে গৃহবধূর আত্মহত্যা
দাউদকান্দি (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৭ নভেম্বর ২০১৯, ০৮:৩১ এএম
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আপত্তিকর ছবি ছড়িয়ে দেয়ায় অপমানে বিষপানে আত্মহত্যা করেছে এক গৃহবধূ। এমন অভিযোগ এনে থানায় মামলা করেছেন ওই গৃহবধূর মা রাবেয়া আক্তার।
কিন্তু এ মামলার আসামি আউলিয়া গ্রেফতার না হওয়ায় গণমাধ্যমের নিকট ক্ষোভ প্রকাশ করেন বুধবার রাবেয়া আক্তার।
কুমিল্লার দাউদকান্দি পৌরসদরের কদমতলী গ্রামে ঘটনার পর থেকে কথিত প্রেমিক আউলিয়া গা-ঢাকা দেয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দাউদকান্দি উপজেলার কদমতলি গ্রামের দিল মোহাম্মদের সঙ্গে ১২ বছর পূর্বে বাজরা গ্রামের নাজির বেপারীর মেয়ে হালিমা বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে চাকরির সুবাদে স্বামী ঢাকায় থাকেন এবং মাসে দুই/একবার বাড়িতে আসেন। ১২ বছরের দাম্পত্য জীবনে তানজিনা ও আবু সাঈদ নামে দুই সন্তান রয়েছে।
স্বামী ঢাকায় থাকার কারণে পৌর এলাকার কেডিসি হানিফ সওদাগরের ছেলে আউলিয়ার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন নিহত হালিমা বেগম। বিষয়টি এলাকাবাসীর চোখে ধরা পরায় হালিমা বেগম প্রেমিক আউলিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।
এতে প্রেমিক আউলিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে হালিমা বেগমের কয়েকটি অশ্লীল ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আপলোড করলে তা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। এ ঘটনায় হালিমা ১৫ নভেম্বর বিষ পান করে।
পরিবারের সদস্যরা তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিছুটা সুস্থ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বাড়িতে নিয়ে গেলে পরদিন দুপুরে হালিমা মারা যায়।
নিহত হালিমার মা রাবেয়া বেগম জানান, এলাকায় জুয়ার সর্দার আউলিয়া অনেক টাকার মালিক। টাকার লোভে ফেলে আমার মেয়ের জীবনটা শেষ করেছে। আর কোনো মেয়ের সংসার যেন নষ্ট করতে না পারে এ জন্য তাকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। অনেকবার তাকে বাড়িতে আসতে নিষেধ করেছি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দাউদকান্দি থানার এসআই জাহাঙ্গীর আলম জানান, মামলার পর থেকে আউলিয়া পলাতক রয়েছে। শুনেছি সে আগে জুয়া খেলত এবং আসরও চালাত।