Logo
Logo
×

সারাদেশ

শিশুর মূল্যায়ন করা জেএসসি পরীক্ষার সেই খাতা জব্দ

Icon

বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৬ নভেম্বর ২০১৯, ১০:৫৪ পিএম

শিশুর মূল্যায়ন করা জেএসসি পরীক্ষার সেই খাতা জব্দ

শিশু দ্বারা মূল্যায়নকৃত জেএসসি পরীক্ষার সেই খাতা জব্দ

দিনাজপুরের বিরামপুরে শিশু দ্বারা সদ্য সমাপ্ত জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষার খাতা শিশুদের দিয়ে মূল্যায়ন করার অভিযোগে ১০০ খাতা জব্দ করে থানায় জমা দেয়া হয়েছে।

সোমবারের এ ঘটনার মঙ্গলবার দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

এ সময় তিনি সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের নিকট থাকা শিশু দ্বারা মূল্যায়নকৃত ১৫০টি খাতা জব্দ করে নিয়ে গেছেন।

জানা গেছে, বিরামপুর পৌর শহরের আদর্শ স্কুলপাড়ার বাসিন্দা ফুলবাড়ী উপজেলার জয়নগর উচ্চবিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক সাহানুর রহমান সদ্যসমাপ্ত জেএসসি পরীক্ষার ২৫০টি খাতা মূল্যায়নের জন্য দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড থেকে গ্রহণ করেন। কিন্তু তিনি নিজে খাতা মূল্যায়ন না করে প্রতিবেশী জিয়াউর রহমানের বাড়িতে ২৫০টি খাতা মূল্যায়নের জন্য দিয়ে যান।

জিয়াউর রহমানের স্ত্রী দিলরুবা বেগম বলেন, শিক্ষক সাহানুর রহমান ২৫০টি খাতার মধ্যে মূল্যায়ন শেষে ১৫০টি খাতা নিয়ে গেছেন এবং অবশিষ্ট ১০০টি খাতা পরে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল।

দিলরুবা বেগম আরও  জানান, তার জেএসসি পরীক্ষা দেয়া পুত্র অনিক ও নার্সারি পড়ুয়া শিশুপুত্র আবরার ওই সব খাতা মূল্যায়ন করেছে।

গোপন সূত্রে এ খবর পাওয়ার পর বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের প্রতিনিধি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নূর আলম ও যুব উন্নয়ন অফিসার জামিল উদ্দিন পুলিশসহ সোমবার জিয়ার বাড়ি থেকে জেএসসি পরীক্ষার ১০০টি খাতা জব্দ করে আনেন। মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নূর আলম জব্দকৃত খাতা সাধারণ ডাইরিমূলে থানায় জমা দিয়েছেন।

দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তোফাজ্জুর রহমান ও উপ-সচিব ড. আবদুর রাজ্জাক মঙ্গলবার খাতাগুলোর উদ্ধারস্থল পরিদর্শন ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণের মতামত গ্রহণ করেন।

এ সময় তারা অভিযুক্ত শিক্ষক সাহানুর রহমানের হেফাজতে থাকা শিশু দ্বারা মূল্যায়নকৃত ১৫০টি খাতা জব্দ করে নিয়ে যান।

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তোফাজ্জুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, জব্দকৃত খাতা অন্য শিক্ষক দ্বারা পুনঃমূল্যায়ন করা হবে। এতে পরীক্ষার্থীদের কোনো অসুবিধা হবে না।

তিনি আরও বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ ও আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে থানায় নিয়মিত মামলা করা হবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম