ট্রলার-স্পিডবোটের সংঘর্ষে মাদারীপুরের জেলা জজ আহত

শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০ নভেম্বর ২০১৯, ১০:৪০ পিএম

মাদারীপুরের শিবচরে পদ্মা নদীতে ট্রলার-স্পিডবোটের মুখোমুখি সংঘর্ষে মাদারীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক নিতাই চন্দ্র সাহা (৫৭) আহত হয়েছেন।
বুধবার সন্ধ্যায় কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুটে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় জেলা ও দায়রা জজের গানম্যান সঙ্গে ছিলেন। কিন্তু তিনি অক্ষত রয়েছেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, বুধবার সন্ধ্যার পরে ভিআইপি স্পিডবোট নিয়ে গানম্যানসহ কাঁঠালবাড়ি স্পিডবোট ঘাট থেকে শিমুলিয়ার উদ্দেশে যাত্রা করেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক নিতাই চন্দ্র সাহা। ঘাট থেকে স্পিডবোট ছেড়ে কিছু দূর যেতেই ৩ নম্বর ফেরি ঘাটের কাছে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রলারের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। ধাক্কা লেগে জেলা ও জজ নিতাই চন্দ্র সাহা গুরুতর আহত হন।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পাচ্চর ইসলামিয়া হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। পরে ফেরিযোগে তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা হন।
স্পিডবোট ঘাটের সুপারভাইজার রাসেল বেপারী জানান, আমি খবর পেয়ে জেলা ও দায়রা জজ স্যারকে উদ্ধার করে পাচ্চর ইসলামিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাই। স্পিডবোট দুর্ঘটনায় তার মাথা কেটে যায়। এ ছাড়া তার চোখেও আঘাত লেগেছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
পাচ্চর ইসলামিয়া হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মো. মিলন মিয়া জানান, সন্ধ্যার পর মাথায় ইনজুরি নিয়ে জেলা ও দায়রা জজ নিতাই চন্দ্র সাহা আমাদের হাসপাতালে আসেন। তার মাথার বাম পাশে চোখের উপরের অংশে কেটে গেছে। বাম চোখেও আঘাতপ্রাপ্ত হন। ক্ষতস্থানে রক্ত জমাট বেঁধেছে। তিনি চোখেও ঝাপসা দেখেন। যে কারণে আমি প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা প্রেরণ করি।
মাদারীপুর জজ কোর্টের সাবেক পিপি হাবিবুর রহমান জানান, আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই, কিন্তু তার সঙ্গে আমার দেখা হয়নি। পাচ্চর ইসলামিয়া হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে ঢাকা নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
শিবচর থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়রা তাকে চিকিৎসার জন্য পাচ্চর ইসলামিয়া হাসপাতালে নিয়ে আসেন। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে আমরা অ্যাম্বুলেন্সযোগে একটি ফেরিতে উঠিয়ে দেই।