পরিবহন ধর্মঘট: অবৈধ যানগুলো এখন একমাত্র ভরসা
কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০ নভেম্বর ২০১৯, ০৩:১৮ এএম
কালীগঞ্জে পরিবহন ধর্মঘটে লেগুনায় করে গন্তব্যে যাচ্ছেন যাত্রীরা। ছবি: যুগান্তর
নতুন সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবায়নের প্রতিবাদে সোমবার সকাল থেকে যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন শ্রমিকরা। পূর্ব কোনো ঘোষণা ছাড়াই এ ধর্মঘট পালন করছেন তারা।
দূর-দূরান্তের যাত্রীরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। গন্তব্যে পৌঁছাতে যাত্রীরা, মাহেন্দ্র, শ্যালোইঞ্জিনচালিত নসিমন বা ইজিবাইক ব্যবহার করছেন। যদিও এ যানবাহনগুলো মহাসড়কে চলাচল অবৈধ। ভাড়াও নেয়া হচ্ছে বেশি।
এদিকে অনার্সের পরীক্ষা থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, খুলনা থেকে ছেড়ে আসা রুপসা পরিবহন ও কুষ্টিয়া থেকে ছেড়ে আসা গড়াই পরিবহনের কোনো বাস সোমবার সকাল থেকে চলাচল করেনি। এ ছাড়া কালীগঞ্জ থেকে মেহেরপুরগামী শাপলা পরিবহনও চলাচল করেনি।
শহর ঘুরে দেখা গেছে, গত দুদিন ঢাকাগামী বাস চলাচল করলেও বুধবার সকাল থেকে কাউন্টারগুলো বন্ধ দেখা গেছে। ছেড়ে যায়নি কোনো পরিবহন। ঝিনাইদহের স্থানীয় সব রুটে বাস চলাচল সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রয়েছে।
অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষার্থী সাবিনা জানান, পরীক্ষা শুরু বেলা ১টায়। সকাল ৮টায় কালীগঞ্জ শহরের বাসা থেকে বের হয়েছি। যশোর মহিলা কলেজ পরীক্ষাকেন্দ্র। তার পরও পরীক্ষা ধরতে পারবে কিনা সন্দেহ আছে। তা ছাড়া মাহেন্দ্রতে অনেক বেশি ভাড়া নেয়া হচ্ছে।
একই বর্ষের পরীক্ষার্থী খায়রুল ইসলাম জানান, বাস ধর্মঘটের কারণে পরীক্ষা পিছিয়ে দেয়া উচিত ছিল। এভাবে পরীক্ষা দেয়া অনেক কষ্টকর।
কালীগঞ্জ, কোটচাঁদপুর ও মহেশপুর উপজেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রজব আলী মন্টু বলেন, নতুন সড়ক পরিবহন আইন কার্যকরের প্রতিবাদে শ্রমিকরা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন করছেন।
নতুন পরিবহন আইনে দুর্ঘটনায় কেউ মারা গেলে চালকের মৃত্যুদণ্ড এবং আহত হলে পাঁচ লাখ টাকা দিতে হবে। এত টাকা শ্রমিকরা কোথায় পাবেন। বাস চালিয়ে তারা জেলখানায় যেতে চান না।