
প্রিন্ট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:০৯ এএম
লবণের মূল্যও বাড়ছে, সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

গাজীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯ নভেম্বর ২০১৯, ১০:০২ পিএম

গাজীপুর মহানগর ও জেলা শাখার প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দিচ্ছেন ওবায়দুল কাদের। ছবি: যুগান্তর
আরও পড়ুন
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পেঁয়াজের মূল্য এখন নিয়ন্ত্রণে এসে যাচ্ছে, দাম কমে যাচ্ছে। ইনশাল্লাহ, পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক হবে। লবণ নিয়েও অনেকে কারসাজি শুরু করেছে। লবণের মূল্যও বাড়ছে। সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে হবে।
মঙ্গলবার বিকালে শহীদ বরকত স্টেডিয়ামে আওয়ামী লীগের গাজীপুর মহানগর ও জেলা শাখার প্রতিনিধি সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগের এই সাধারণ সম্পাদক বলেন, চাঁদাবাজি চলবে না। টেন্ডারবাজি চলবে না। মাদক কারবারি চলবে না। জমি দখল চলবে না। দুর্নীতি চলবে না। সবাইকে তিনি হুশিয়ার হতে বলেন।
বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে বলেও মন্তব্য করেন দলটির সেতুমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার অ্যাকশন শুরু হয়ে গেছে। দুর্বৃত্তায়নের চক্র ভেঙে দেয়া পর্যন্ত এই অ্যাকশন চলতে থাকবে। দুর্নীতি আর দুর্বৃত্তায়নের চক্র ভেঙে দিতে হবে।
‘উন্নয়ন আর অর্জনের কোনো দাম নেই, যদি আচরণ খারাপ হয়। ভালো ব্যবহার না করলে ভালো উন্নয়নের কোনো দাম নেই, কোনো মূল্য নেই।’
তিনি দলের কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আপনাদের কাজ হল মানুষের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করা। মানুষকে খুশি করাটাই হল অপনাদের কাজ। কলহ করবেন না। ঘরের মধ্যে ঘর করবেন না। মশারির মধ্যে মশারি টানাবেন না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দল ভারী করার জন্য খারাপ লোকদের পকেটে আনবেন না। এ খারাপ লোকেরা বসন্তের কোকিল। বসন্ত আসলে আসবে। আর ক্ষমতা চলে গেলে পাঁচ হাজার পাওয়ারের বাতি জ্বালিয়েও তাদের খুঁজে পাওয়া যাবে না।
‘আওয়ামী লীগ সুবিধাবাদীদের দল নয়। আওয়ামী লীগ আদর্শের দল। আদর্শ হচ্ছে আমাদের শিকড়। আদর্শের শিকড় থেকে বিচ্যুৎ হলে আওয়ামী লীগ বাঁচবে না। আওয়ামী লীগ বাঁচবে আমরা যতদিন বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে আঁকড়ে ধরে রাখব। বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে। বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে।’
বিএনপির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপির এখন বেলা শেষ। শেষ বেলায় তারা ইস্যু খুঁজে বেড়াচ্ছে। একটার পর একটা ইস্যু খুঁজে বেড়াচ্ছে। শেখ হাসিনা অ্যাকশন নিচ্ছেন ঘরের লোকের বিরুদ্ধেও। বিএনপির হাতে কোনো ইস্যু আমরা দেব না, দেব না।
আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখুন। তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আপনাদের এক থাকতে হবে। কমিটি গঠন করতে গিয়ে পকেট কমিটি করবেন না। কমিটি গঠন করতে গিয়ে দুঃসময়ের ত্যাগীদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। অনুপ্রবেশকারী ক্লিন ইমেজধারীদের আমরা স্বাগত জানাব। কিন্তু দূষিত রক্তের আমাদের দলে দরকার নেই। সারা বাংলায় আওয়ামী লীগে বিশুদ্ধ রক্ত সঞ্চালন করতে হবে।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ভারতের সঙ্গে কোনো চুক্তি হয়নি। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সমঝোতা স্মারক হয়েছে। চুক্তি আর সমঝোতা স্মারক এক নয়। তাদের এখন ভারত বিরোধিতা কেন? আমরা তো জানি ভারতের আনুগত্য পাওয়ার জন্য বিএনপি ভিক্ষা চাইছে। তারা তাতে বারে বারে ব্যর্থ হয়ে এখন আওয়ামী লীগকে ভারতের সঙ্গে জড়িয়ে পুরনো সেই সুরে নতুন খেলা শুরু করেছে। আমাদের বন্ধু ভারত। আমরা ভারতের প্রতি আনুগত্য দেই না। আমরা বন্ধুত্ব করেছি। আমাদের শক্তির উৎস আমাদের জনগণ। কোনো বিদেশি শক্তি আমাদের ক্ষমতায় বসাবে না।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে সভায় অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী (নওফেল), ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক শ্রী সুজিত রায় নন্দী, সদস্য আখতারুজ্জামান, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, সদস্য আজমত উল্লাহ খান, সদস্য সিমিন হোসেন রিমিন এমপি প্রমুখ।