আবদুর রহিম। ফাইল ছবি
বগুড়ায় দুর্বৃত্তরা আবদুর রহিম (৪৫) নামে এক আওয়ামী লীগ কর্মী মাছ ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করেছে।
বৃহস্পতিবার সকালে শহরতলীর অদ্দিরগোলা বাজারে তার উপর হামলা চালানো হয়।
নিহতের ভাই আবদুল বাছেদ এ হত্যাকাণ্ডের জন্য স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী এবং ভাড়াটিয়া খুনিদের দায়ী করেছেন।
শুক্রবার সদর থানায় হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করবেন।
আবদুর রহিম বগুড়া সদরের সাবগ্রাম ইউনিয়নের চকঝপু গ্রামের মোজাহার আলীর ছেলে। তিনি মাছের পোনার ব্যবসার পাশাপাশি আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন।
বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রেজাউল করিম রেজা জানিয়েছেন, পূর্ব কোনো বিরোধের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত হত্যার প্রকৃত কারণ উদঘাটন, হামলাকারীদের সনাক্ত এবং কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
পুলিশ ও এলাকাবাসীরা জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ২০১৭ সালের ৫ জানুয়ারি সাবগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ইসরাইল হককে কুপিয়ে আহত করা হয়েছিল। এ মামলায় আবদুর রহিমকে প্রধান আসামি করা হয়। তিনি জামিনে ছাড়া পেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিহতের বড় ভাই আবদুল বাছেদ অভিযোগ করেন, তার ভাই আওয়ামী লীগের কর্মী ছিলেন। দুই বছর আগে সাবগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ইসরাইল হককে কোপানোর ঘটনায় তার ভাইকে অন্যায়ভাবে প্রধান আসামি করা হয়েছিল। পরে তিনি আদালত থেকে জামিন লাভ করেন।
তিনি জানান, অদ্দিরগোলা বাজারে আওয়ামী লীগ নেতা ইসরাইলের নেতৃত্বে তার ভাই আওয়ামী লীগ কর্মী নজির, ভাই স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মী মনির, চাচাতো ভাই আওয়ামী লীগ কর্মী সফিউল্লাহ, বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারী সাবগ্রাম ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বর সাইফুল ইসলামসহ ১০-১১ জন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী আবদুর রহিমের পথরোধ করেন। এরপর তাকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করেন।
পরে সদর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
আবদুল বাছেদ আরও জানান, তিনি তার ভাইকে সতর্ক হয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু কথা না শোনায় আজ নৃশংস হত্যার শিকার হলেন।
এ প্রসঙ্গে বগুড়া সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাফুজুল ইসলাম রাজ জানান, নিহত আবদুর রহিম তার সংগঠনের কোনো পর্যায়ের নেতাকর্মী ছিলেন না। বরং তিনি সাবগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ইসরাইল হককে কুপিয়ে আহত করার মামলায় তিনি প্রধান আসামি ছিলেন।