এসআই রিপন মিয়া। ফাইল ছবি
বগুড়ার গাবতলী উপজেলায় মধ্যরাতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে নববধূকে পিটিয়ে জখম করায় এসআই রিপন মিয়াকে পুলিশ লাইন্সে ক্লোজড করা হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যায় গাবতলী থানার ওসি সেলিম হোসেনের সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের তদন্ত চলছে। পুলিশ সুপার আপাতত তাকে পুলিশ লাইন্সে ক্লোজ করেছেন।
এসআই রিপন মিয়াকে না জানিয়ে মামলা মীমাংসা, বিয়ে ও তাকে উৎকোচ না দেয়ায় নববধূ কলেজছাত্রী মনিরা আকতার কেমিকে (১৯) মারপিট করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
রোববার রাতে উপজেলার খুপি মধ্যপাড়া গ্রামে এ ঘটনার পর আহত কেমিকে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এতে জনগণের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। তারা অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
জানা গেছে, বগুড়ার গাবতলী উপজেলার খুপি মধ্যপাড়া গ্রামের আবদুল খালেকের ছেলে এমরান হোসেন সুইট ও একই উপজেলার খুপি গ্রামের জাহিদুল ইসলামের মেয়ে মনিরা আকতার কেমি স্থানীয় ফজিলা আজিজ টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থী। সুইট গত বছর ও কেমি চলতি বছর উচ্চমাধ্যমিক পাস করেছেন।
সুইট কলেজে পড়ার সময় কেমির প্রতি দুর্বল হয়ে পড়েন। তাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হলে কেমি গত ১৪ সেপ্টেম্বর সুইটের বিরুদ্ধে ইভটিজিংয়ের মামলা করেন। পুলিশ পরদিন সুইটিকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠায়।
এদিকে কেমি ও সুইটের পরিবার মীমাংসা করে আদালতে কাগজপত্র জমা দিলে গত ৩১ অক্টোবর সুইটের জামিন হয়। ১ নভেম্বর পারিবারিকভাবে বিয়ে হলে সুইট তার নববধূ কেমিকে গাবতলীর খুপি মধ্যপাড়ার বাড়িতে নিয়ে যান।
এমরান হোসেন সুইট অভিযোগ করেন, মামলা মীমাংসা ও কেমিকে বিয়ে করায় ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গাবতলী থানার এসআই রিপন মিয়া তাদের ওপর ক্ষুব্ধ হন। তিনি তাকে হুমকি ও ১০ হাজার টাকা দাবি করেন।
তিনি জানান, কেমিকে ফোনে তাকে (সুইট) হত্যা, মাদক মামলা দিয়ে জেলে দেয়ার হুমকি দেন এসআই রিপন। রোববার রাত ১০টার দিকে সাদা পোশাকে এসআই রিপন মিয়া ও ৪-৫ জন দরজা ভেঙে বাড়িতে ঢোকেন। সুইট টের পেয়ে পালিয়ে গেলে পুলিশ কর্মকর্তা তার লোকজন নিয়ে ঘরে ঢোকে।
এ সংক্রান্ত আরও খবর: