Logo
Logo
×

সারাদেশ

বাহুবলে জেএসসি পরীক্ষা দিতে পারেনি শিক্ষার্থী, শিক্ষিকা বরখাস্ত

Icon

বাহুবল (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০১৯, ০৮:৪০ পিএম

বাহুবলে জেএসসি পরীক্ষা দিতে পারেনি শিক্ষার্থী, শিক্ষিকা বরখাস্ত

হবিগঞ্জের বাহুবলে এক স্কুল শিক্ষিকার দায়িত্বে অবহেলা ও ভুলের কারণে চলতি জেএসসি পরীক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়েছে এক শিক্ষার্থী।

অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্কুল ম্যানেজিং কমিটি।

জানা গেছে, বাহুবল উপজেলার পুটিজুরী ইউনিয়নের মীরেরপাড়া গ্রামের মতিন মিয়ার কন্যা লিপি আক্তার পুটিজুরী শরৎচন্দ্র উচ্চবিদ্যালয়ে চলতি জেএসসি পরীক্ষার্থী ছিল।

সরকারি বিধিমোতাবেক রেজিস্ট্রেশন ফি ও সব ধরনের কাগজ-পত্র পূরণ করে জেএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়েছিল। কিন্তু পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত সব কাগজপত্র প্রতিষ্ঠানের দফতরে জমা দেননি ক্লাস শিক্ষিকা রুবী রানী দাস।

এ কারণে চলতি জেএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা হল না লিপি আক্তারের। তার শিক্ষাজীবন থেকে ঝড়ে গেল একটি বছর।

এ বিষয় নিয়ে রোববার বেলা ১১টায় স্কুল প্রাঙ্গণে ম্যানেজিং কমিটির এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় অভিযুক্ত ওই শিক্ষিকা নিজের দায়িত্বে অপহেলার কথা স্বীকার করলে স্কুল ম্যানেজিং কমিটি তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে।

এ বিষয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক কানু প্রিয় চক্রবর্তী বলেন, ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক অভিযুক্ত ওই শিক্ষিকাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং পরীক্ষাবঞ্চিত মেয়েটির এক বছরের শিক্ষাবাবদ সব খরচ ক্ষতিপূরণ হিসেবে দিতে চাইছে।

তবে পরীক্ষা বঞ্চিত মেয়েটির পরিবারের দাবি, খরচ বাবদ টাকা নিয়ে কী হবে, যার শিক্ষা জীবন থেকে একটি বছর ঝড়ে গেল তার ক্ষতিপূরণ কে দিবে?

এ বিষয়ে পুটিজুরী শরৎচন্দ্র উচ্চবিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শাহ আব্দুল আহাদ বলেন, যে শিক্ষিকার দায়িত্বে অবহেলা ও গাফিলাতির কারণে একজন শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবনে ঝুঁকি নেমে আসে, তাকে সাময়িক নয়, প্রয়োজনে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করার পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে, তারপরও স্কুলে শিক্ষার মানোন্নয়নে ব্যাঘাত ঘটতে দিব না।

এ ছাড়া অভিযুক্ত শিক্ষিকা রুবী রানী দাসের বিরুদ্ধে স্কুলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাজে ব্যবহারেরও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমন কী স্কুলের অফিসে বসে শিক্ষা ও শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় না নিয়ে মোবাইলে কথা বলায় ব্যস্ত থাকেন বলেন জানা গেছে।


উল্লেখ্য, শিক্ষিকা রুবী রানী দাস অত্র স্কুলের সহকারী শিক্ষক দোলন চন্দ্র দাসের স্ত্রী। এ বিষয় নিয়ে এলাকার অভিভাবকদের মাঝে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে।

Jamuna Electronics
wholesaleclub

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম