লটারির নামে সিমকার্ড প্রতারণা, ১০০ জনের জিডি
কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৩ অক্টোবর ২০১৯, ০৮:৫৬ পিএম
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে লটারির নামে মেবাইল সিমকার্ড প্রতারণার ঘটনায় ১০০ জন ভুক্তভোগী থানায় জিডি করেছেন।
উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নের উত্তর সিঙ্গেরগাড়ী ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের মোস্তাফিজার রহমান ওরফে একরামুল ও তার বাবা আনোয়ার হোসেনসহ অজ্ঞাতনামা তিনজনের বিরুদ্ধে এ সব মামলা দায়ের করা হয়।
প্রতারণার শিকার সদর ইউনিয়নের মুশা গ্রামের ৫৯ জন ও পুষণা গ্রামের ৪১ জন মঙ্গলবার রাতে কিশোরগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
প্রতারকচক্র লটারির মাধ্যমে বিভিন্ন পণ্য দেয়ার প্রলোভনে আঙ্গুলের ছাপ ও এনআইডি কার্ডের নম্বর নিয়ে গোপনে তাদের নামে সিমকার্ড তোলেন। দুষ্কৃতকারী ও রোহিঙ্গাদের কাছে এ সব মোবাইল সিমকার্ড বিক্রি হবে বলে ক্ষতির আশংকায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, সদর ইউনিয়নের মুশা, পুষণা ও চাঁদখানা ইউনিয়নের মুন্সিপাড়াসহ বিভিন্ন গ্রামের সহস্রাধিক মানুষের সঙ্গে লটারির নামে প্রতারণা করে মোবাইল সিমকার্ড উত্তোলন করা হয়। শাড়ি, লুঙ্গি, ছাতা ও মোবাইলফোন দেয়ার প্রলোভনে তাদের এনআইডি নম্বর ও ফিঙ্গার মেশিনে দুই হাতের আঙ্গুলের একাধিকবার ছাপ নেয়া হয়।
পরদিন এসে দুই একজনকে শাড়ি লুঙ্গি দিয়ে জানানো হয়, লটারিতে তোমাদের নাম উঠেছে। পুরুষদের চেয়ে মহিলারা আঙ্গুলের ছাপ ও ভোটার আইডি নম্বর দিয়ে লটারিতে পণ্য নেয়ার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়েন। বিনা টাকায় লটারিতে এভাবে বিভিন্ন পণ্য দেয়ার ঘটনা এলাকার লোকজনের সন্দেহ হয়।
রংপুর টেলিটক অফিসে খোঁজ নিয়ে জানতে পান, লটারির মাধ্যমে প্রতারণা করে তাদের প্রত্যেকের নামে একাধিক সিমকার্ড উত্তোলন করেছেন। ইঙ্গিত পেয়ে শনিবার মুশা গ্রামের এরশাদের কাছে ফিঙ্গার মেশিন, মোবাইল ট্যাব ও কাগজপত্র রেখে মোস্তাফিজার ও তার দুই সহযোগী পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ থানার ওসি এম হারুন অর রশিদ যুগান্তরকে জানান, এ ঘটনায় জড়িত অজ্ঞাতনামা তিনজনসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে ১০০ জন জিডি করেছেন। অভিযুক্তরা কেন ফিঙ্গার প্রিন্ট ও এনআইডি নম্বর নিয়ে অন্যের মোবাইল সিমকার্ড উত্তোলন করেছে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এ ঘটনায় জিডির তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জাহিদ জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। অভিযুক্তরা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। তদন্ত চলছে।