সাটুরিয়া হাসপাতালে চুরি হওয়া টাকা মিলল কোষাধ্যক্ষের কাছে
সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০১৯, ০১:৪৮ পিএম
মো. লুৎফর রহমান
সাটুরিয়া স্বাস্থ্য কসপ্লেক্সের চুরি য়াওয়া প্রায় ৫ লাখ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
হাসপাতালের ক্যাশিয়ার মো. লুৎফর রহমানের কাছ থেকে চুরিকৃত টাকা রোববার উদ্ধার করা হয়।
গত ৩ অক্টোবর সাটুরিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চুরি হওয়ার ঘটনা নাটক সাজিয়ে ছিল কোষাধ্যক্ষ মো. লুৎফর রহমান। প্রায় ৬ লাখ টাকা চুরি হওয়ার ঘোষণা দিলেও ১ সপ্তাহের ব্যবধানে ওই টাকা তার বাড়িতে ছিল বলে পুলিশকে জানায়।
এ ঘটনায় পুলিশ তাকে শনিবার দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ করে এ তথ্য পায়। তবে আইনি জটিলতায় তাকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ।
অতগুলো টাকা থাকার কথা প্রকাশ্যে কেউ জানত না বলে জানান লুৎফর রহমান। তাছাড়া জানালার কাঁচ অক্ষত, গ্রিল ভাঙ্গা দেখে প্রত্যক্ষদর্শীদের সন্দেহের তীর ছিল কোষাধ্যক্ষসহ নৈশপ্রহরীর দিকে।
যেহেতু পরদিন শুক্রবার বন্ধের দিন, বেতনের অতগুলো টাকা কোনো কর্মকর্তাকে অবহিত না করে অফিসে রেখে যাওয়া দায়িত্বহীনতার পরিচয় এমনি মন্তব্য স্থানীয়দের।
কোষাধ্যক্ষ মো.লুৎফর রহমান ধামরাই উপজেলার শিংশ্রী গ্রামের নছিমুদ্দিনের পুত্র বলে জানা গেছে। গত প্রায় ১ বছর যাবৎ সাটুরিয়া হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করছেন।
সাটুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. মামুনুর রশিদ জানান, গত রোববার রাতে পুলিশ আমাকে থানায় ডেকে নিয়ে জানায় চুরিকৃত টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। তবে চুরিকৃত টাকা আদালতের মাধ্যমে নিতে হবে। উদ্ধারকৃত টাকা বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। আর কোষাধ্যক্ষ লুৎফর রহমানকে আমার হেফাজতে ছেড়ে দেয়।
এ ব্যাপারে মো. লুৎফর রহমান জানান, আমি ভুলে টাকাগুলো বাড়ি নিয়ে রেখেছিলাম। এ কথা আমার আর মনে ছিল না। তাই যেহেতু ক্যাশিয়ার আমি সেহেতু চুরির ঘটনা আমার ওপর বর্তায়। তবে আমি চুরি করিনি।
কে গ্রিল কেটেছে জানতে চাইলে তিনি জানান, মূলত চোরেরাই হয়তো গ্রিল কেটে চুরি করেছে।
এদিকে সাটুরিয়া থানার ওসি মো. মতিয়ার রহমান মিঞা বলেন, হাসপাতালের ক্যাশিয়ার মো. লুৎফর রহমান কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতনের টাকা সরিয়ে চুরির নাটক সাজায়। আইননি জটিলতায় তাকে গ্রেফতার করা হয়নি। তবে বিষয়টি তদন্ত করে দুদক ব্যবস্থা নেবে বলে তিনি জানান।