প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে নেত্রকোণার আটপাড়া উপজেলায় বাল্যবিয়ে সম্পন্ন করেছিল দুটি পরিবার।
পাঁচদিন পর গত শুক্রবার রাতে বিষয়টি জানতে পেরে বরকে একমাসের জেল ও ঘটকসহ উভয় পক্ষের পরিবারকে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে নেত্রকোণা জেলার আটপাড়া উপজেলার স্বরমুশিয়া ও বানিয়াজান ইউনিয়নে।
বরের পরিবার স্বরমুশিয়া ইউনিয়নের হরিপুর এবং কনের পরিবার বানিয়াজান ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামের বাসিন্দা।
আটপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজা সুলতানা জড়িমানা ও সাজার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আটপাড়া উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করেই গোপনে বাল্যবিয়ে করিয়েছিল বর-কনের পরিবারের সদস্যরা।
ওই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের পনের বছর বয়সী মেয়ে কলি আক্তারকে আবু তাহেরের একুশ বছর বয়সী ছেলে জাকির হোসেনের সঙ্গে বাল্যবিয়ে দেয়া হয়েছিল। খবর পাওয়ার পর থেকে অপরাধীদের ধরতে তৎপর হয় উপজেলা প্রশাসন।
পরে (শুক্রবার) বর জাকিরকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ছেলে-মেয়ের বাবা তাহের ও রাজ্জাককে ১০ করে ২০ হাজার টাকা এবং ঘটক উজ্জ্বল মিয়াকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এর আগে রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) বাল্যবিয়ে সম্পন্ন করে ওই দুই পরিবার। মৌলভির পরিচয় শনাক্ত করে তার বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন ইউএনও।
এদিকে বাল্যবিয়ে বৈধ করতে মেয়ের পরিবার বানিয়াজান ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ফেরদৌস রানা আঞ্জু ও সচিব আব্দুল মান্নানকে ম্যানেজ করে বয়স বাড়িয়ে জন্মনিবন্ধন করিয়ে নেন।
জেনে-শুনে মিথ্যা তথ্য দিয়ে জন্মনিবন্ধন তৈরি করার দায়ে ওই পরিষদের চেয়ারম্যান ও সচিবের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান ইউএনও মাহফুজা সুলতানা।