বগুড়ার বিলে নোটের টুকরো, পৌরসভার ৩ কর্মকর্তাকে শোকজ
বগুড়া ব্যুরো
প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৬:১৪ পিএম
বগুড়ায় বিলে মিলল বিপুল ছেঁড়া টাকা। ছবি: যুগান্তর
বাংলাদেশ ব্যাংকের বাতিল নোটের টুকরো ডাম্পিং স্টেশনের পরিবর্তে বিলের পানিতে ফেলে দেয়ায় বগুড়া পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শাখার তিন কর্মকর্তাকে শোকজ করা হয়েছে।
বুধবার সকালে মেয়র অ্যাডভোকেট মাহবুবর রহমান এ আদেশে স্বাক্ষর করেন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
মেয়র এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, ভাড়া নেয়া ওই ট্রাকের চুক্তি বাতিল করা হয়েছে।
শোকজ করা কর্মকর্তারা হলেন- বগুড়া পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শাখার পরিদর্শক মামুনুর রশিদ মামুন, একই শাখার ভারপ্রাপ্ত সুপারভাইজার আমিনুল ইসলাম ও বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা রাখিউল আবেদীন।
জানা গেছে, মঙ্গলবার বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার খোট্টাপাড়া ইউনিয়নের বড় চান্দাই জালশুকা গ্রামের খাউড়ার বিলে বিপুল পরিমাণ টাকার নোটের টুকরা পড়ে থাকতে দেখা যায়। গ্রামবাসী টের পেলে হুলস্থূল পড়ে যায়।
শুধু আশপাশের নয়; শহর থেকে শত শত মানুষ নোটগুলো দেখতে ভিড় করেন। প্রচার হয় বগুড়ার অবৈধ পথে কোটিপতিরা প্রশাসনের হাত থেকে বাঁচতে নোটগুলো কেটে বিলে ফেলে গেছে। মুহূর্তের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পুরো জেলায় ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে।
শাজাহানপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ বাংলাদেশ ব্যাংকে যোগাযোগ করে নিশ্চিত হন যে, নোটগুলো ব্যাংকের এবং ২৪০ বস্তা ডাম্পিং করতে বগুড়া পৌরসভাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক জগন্নাথ চন্দ্র ঘোষ জানান, বাতিল টাকাগুলো টুকরো করে ১ হাজার ৮০০ বস্তায় রাখা হয়েছে। আগে বাতিল নোটগুলো আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হতো। কিন্তু পরিবেশ দূষিত হয় সে কারণে বর্জ্যগুলো পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশনের মাধ্যমে ডাম্পিং করা হয়।
তিনি জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুসারে এ সব নষ্ট করতে তারা পৌরসভাকে চিঠি দিয়েছেন। গত রোববার বগুড়া পৌরসভার লোকজন ২৪০ বস্তা নিয়ে ডাম্পিং স্টেশনে না ফেলে বিলে ফেলেছেন।