রাজাপুরে মামলা তুলে নিতে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার হুমকি
রাজাপুর (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১০:১৯ পিএম
ঝালকাঠির রাজাপুরে হত্যামামলা তুলে নিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার খন্দকার মো. আরাফাত লেলিন ফোনে হুমকি দিয়ে আসছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার সকাল ১০টায় রাজাপুর প্রেস ক্লাবে উপস্থিত হয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মামলার বাদী মো. আবদুল্লাহ আল মাহবুব এসব অভিযোগ করেন।
মো. আবদুল্লাহ আল মাহবুব উপজেলার বড়ইয়া গ্রামের মৃত আবদুল করিম হাওলাদারের পুত্র।
হত্যা মামলার বাদী মো. আবদুল্লাহ আল মাহবুব অভিযোগ করেন, চলতি বছরের ২৫ মার্চ রাতে তার পুত্র মো. মেহেদি হাসান শুভকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে হাত-পা কেটে দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন করে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। ওই হত্যার ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে ২৮ মার্চ ২১ জনের বিরুদ্ধে রাজাপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার পর থেকেই আরাফাত লেলিনের সহযোগিতায় আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায়। আরাফাত লেলিন তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিন মাস পূর্বে তার নিকট আত্মীয় ও হত্যা মামলার সাত নম্বর আসামি মো. হেলাল ফকিরকে তার (লেলিন) বাবা মো. খন্দকার শফিউল আলমের ব্যক্তিগত গাড়ির ড্রাইভার নিয়োগ করেন।
ঘটনাটি রাজাপুর থানা পুলিশের নজরে আসে এবং ২২ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১১টায় রাজাপুর উপজেলার সদরের মেডিকেল মোড় এলাকা থেকে হেলালকে ওই গাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ সময় আরাফাত লেলিনের বাবা খন্দকার শফিউল আলম ওই গাড়িতে ছিলেন।
হেলালকে গ্রেফতারের পর খন্দকার শফিউল আলম ঘটনাটি তার ছেলে লেলিনকে জানায়। লেলিন ঘটনা শুনে মোবাইল ফোনে মামলার বাদী মো. আব্দুল্লাহ আল মাহবুবকে গ্রেফতারকৃত আসামিকে ছেড়ে দেয়ার জন্য গালগালিসহ মামলা তুলে নিতে বলেন। অন্যথায় মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে হয়রানি করবে বলেও হুমকি দেয়।
মো. আবদুল্লাহ আল মাহবুব জানান, আরাফাত লেলিনের মিথ্যা মামলার ভয়ে তিনি এখন আতংকগ্রস্ত। নির্ভয়ে মামলা চালিয়ে যেতে পারবে কিনা এ নিয়ে তিনি হতাশাগ্রস্ত হয়ে পরেছেন। এ পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতে তদন্ত সাপেক্ষে ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
মামলা তুলে নিতে হুমকির ব্যাপারে মো. আরাফাত লেলিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগের কথা অস্বীকার করে বলেন, আমার অবস্থান থেকে কখনোই কাউকে মামলা তুলে নিতে হুমকি দেয়া সম্ভব না। আমি সরকারি চাকরি করি এলাকার মানুষসহ বিভিন্ন মানুষ আমাদের কাছে আসবে। সবার কথাই আমাদের শুনতে হয়।