কারাগারে মা হলেন নুসরাত হত্যা মামলার আসামি মণি

সোনাগাজী (ফেনী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৫:৫৯ পিএম

নুসরাত-মণি ও তার সন্তান। ছবি: সংগৃহীত
কারাগারে কন্যাসন্তান জন্ম দিলেন সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত হত্যা মামলার আসামি কামরুন্নাহার মণি। তিনি নুসরাতের সহপাঠী ও বান্ধবী ছিলেন।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে একটি কন্যাসন্তান প্রসব করেন তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আবু তাহের জানান, মা ও মেয়ে দু'জনই সুস্থ রয়েছেন।
এর আগে পাঁচ মাসের গর্ভের সন্তান নিয়েই নুসরাত কিলিং মিশনে অংশ নেন মণি। গত ২১ এপ্রিল ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় ফেনীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরাফ উদ্দিন আহমেদের আদালতে মণি এ জবানবন্দি দেন।
নুসরাত জাহান রাফি হত্যার কিলিং মিশনে সরাসরি জড়িত ছিল কামরুন্নাহার মণি। নুসরাতের বুকসহ শরীর চেপে ধরেন এবং বোরখা ব্যবস্থা করে দেন।
প্রসঙ্গত, গত ৬ এপ্রিল ফেনীর সোনাগাজীতে মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি আলিম পরীক্ষা দিতে যান। পরীক্ষা শুরুর আগে তাকে কৌশলে ছাদে ডেকে নিয়ে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়। ১০ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নুসরাত মারা যান।
সরাসরি কিলিং মিশনে অংশ নেয় পাঁচ জন। তারা হলেন শাহাদাত হোসেন শামীম, জোবায়ের হোসেন, জাবেদ হোসেন, কামরুন নাহার মণি ও উম্মে সুলতানা পপি। মামলার ১২ জন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বর্তমানে মামলাটির আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক চলছে। বাদীপক্ষের আইনজীবীদের আশাবাদ, আগামী অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে এ আলোচিত মামলাটির রায় ঘোষণা হতে পারে।