Logo
Logo
×

সারাদেশ

চলন্ত বাস থেকে মাসহ কলেজশিক্ষককে ফেলে দিল সুপারভাইজার

Icon

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৯:১৫ পিএম

চলন্ত বাস থেকে মাসহ কলেজশিক্ষককে ফেলে দিল সুপারভাইজার

বরগুনার আমতলী সরকারি কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মো. মনিরুল ইসলাম (৪০) ও তার বৃদ্ধা মা সাফিয়া বেগমকে (৭০) চলন্ত বাস থেকে ফেলে দিয়েছেন মিশুক বাসের সুপারভাইজার জামাল মিয়া।

এতে কলেজশিক্ষক ও তার মা আহত হন। আহত শিক্ষক ও তার মাকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় আমতলী-পটুয়াখালী মহাসড়কের একে স্কুল চৌরাস্তায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, প্রভাষক মো. মনিরুল ইসলাম তার বৃদ্ধা মা সাফিয়া বেগমের চোখের চিকিৎসার উদ্দেশ্যে পটুয়াখালী যাওয়ার জন্য আমতলী বটতলায় বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। কলাপাড়া থেকে ছেড়ে আসা মিশুক বাসটির সুপারভাইজার জামাল মিয়া বাসে সিট আছে বলে তাদের ডেকে উঠান।

কিন্তু ওই বাসে কোনো সিট ছিল না। সিট না পেয়ে শিক্ষক তার অসুস্থ মাকে নিয়ে ওই বাসে যাবে না বলে জানান। এতে ক্ষেপে যায় বাসের সুপারভাইজার জামাল মিয়া। একপর্যায়ে আমতলী-পটুয়াখালী মহাসড়কের একে স্কুল নামক স্থানে চলন্ত বাস থেকে শিক্ষক মনিরুল ইসলাম ও তার মাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন।

এতে শিক্ষক মনিরুল ইসলামের পা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম এবং মা সাফিয়া বেগম আহত হন। স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

আমতলী সরকারি কলেজের প্রভাষক আহত মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, বসার সিট আছে বলে আমাকে বাসে ডেকে উঠান সুপারভাইজার। বাসে উঠে দেখি কোনো সিট নেই। আমি ওই বাসে যাব না বলে সুপারভাইজারকে জানাই। এতে ক্ষিপ্ত হয় সুপারভাইজার। আমি সুপারভাইজারকে বাস থেকে নামিয়ে দিতে বলা মাত্রই চলন্ত বাস থেকে আমাকে এবং আমার মাকে ধাক্কা দিয়ে নামিয়ে দেয়। এতে আমি ও আমার মা গুরুতর আহত হয়েছি। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মো. হারুন অর রশিদ বলেন, আহত শিক্ষক মো. মনিরুল ইসলামের বাম পায়ের গোড়ালিতে গুরুতর জখম হয়েছে। তাকে যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হয়।

বরগুনা জেলা বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং বাস মালিক সমিতির সদস্য মো. হাসান মৃধা বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি,এটা অন্যায়। ওই বাসের সুপারভাইজারকে খবর দিয়েছি। ওর উপযুক্ত বিচার করা হবে।

আমতলী থানার ওসি মো. আবুল বাশার বলেন, কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম