ঝালমুড়ি খাওয়া নিয়ে বাকবিতণ্ডায় যুবককে পিটিয়ে হত্যা

শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৬ আগস্ট ২০১৯, ০২:০২ পিএম

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় নিহত মনির। ছবি: যুগান্তর
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় ঝালমুড়ি খাওয়া নিয়ে বাকবিতণ্ডায় মনির (২২) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রোববার রাতে উপজেলার কালীঘাট ইউনিয়নের ফুলছড়া চা বাগান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মনির শহরতলির মুসলিমবাগ এলাকার আকিল মিয়ার ছেলে ও শহরের মিদাদ শপিং সেন্টারের ব্যবসায়ী বলে জানা গেছে।
পুলিশ এ ঘটনায় হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা প্রতিপক্ষের পাঁচজনকে আটক করেছে। তারা হলেন- ফুলছড়া চা বাগানের উত্তম তন্তবায়, সঞ্জীব, চন্দন, পল্পব নায়েক ও জাহাঙ্গীর। আটককৃতরা সবাই চা শ্রমিক বলে স্থানীয়রা নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, রোববার ফুলছড়া চা বাগানে নাটমন্দিরের সামনে ঝালমুড়ি খাওয়া নিয়ে মনির ও তার এক বন্ধুর সঙ্গে কয়েকজন চা শ্রমিকের বাকবিতণ্ডা হয়। এর জের ধরে একদল চা শ্রমিক তাকে পিটিয়ে ছড়ায় ফেলে দেয়।
খবর পেয়ে স্থানীয়রা মনিরকে ছড়া থেকে উদ্ধার করে প্রথমে শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান।
মনিরের সঙ্গে থাকা জহির মিয়াকে গুরুতর অবস্থায় মৌলভীবাজার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ পাঁচজনকে আটক করেছে।
এদিকে এ ঘটনায় মুসলিমবাগ এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। রাত ১২টার দিকে উত্তেজিত জনতাদের নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে পুলিশ সদস্য সমর বিকাশ চাকমা, শ্রীমঙ্গল ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য আজয় সিংহ ও আমজাদ হোসেন বাচ্চু আহত হয়েছেন।
শ্রীমঙ্গল থানার ওসি (তদন্ত) সোহেল রানা যুগান্তরকে বলেন, উত্তেজিত এলাকাবাসীকে শান্ত করতে পুলিশের বেশ বেগ পেতে হয়েছে। আহত পুলিশ সদস্য ও ব্যবসায়ীদের চিকিৎসার জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামান বলেন, এ পর্যন্ত পাঁচ সন্দেহভাজনকে আহতাবস্থায় আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞসাবাদ করা হবে। মরদেহ উদ্ধার করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।