মাদ্রাসাছাত্র আবিরকে মাথা কেটে হত্যার জট খুলেছে
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬ আগস্ট ২০১৯, ১০:৫৫ এএম
চুয়াডাঙ্গায় আবির হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ৫ ছাত্র। ইনসেটে আবির হুসাইন। ছবি: যুগান্তর
চুয়াডাঙ্গায় মাদ্রাসাছাত্র আবির হুসাইনকে বলাৎকারের পর মাথা কেটে হত্যারহস্য উন্মোচিত হয়েছে। মাদ্রাসার পাঁচ ছাত্রকে গ্রেফতারের পর চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের রহস্যের জট খোলে।
গ্রেফতার আনিসুজ্জামান, ছালিমির হোসেন ও আবু হানিফ রাতুল সোমবার রাতে চুয়াডাঙ্গার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
ওই জবানবন্দিতে তারা আবির হুসাইনকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
জানা গেছে, ২৩ জুলাই আলমডাঙ্গা উপজেলার কয়রাডাঙ্গা নুরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র আবির হুসাইন নিখোঁজ হয়।
পর দিন সকালে মাদ্রাসার নিকটবর্তী আমবাগান থেকে তার মাথাবিহীন মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
২৫ জুলাই মাদ্রাসার কাছের একটি পুকুর থেকে আবিরের মাথা উদ্ধার হয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পুলিশ মাদ্রাসার পাঁচ শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে।
প্রতিষ্ঠানপ্রধান মাওলানা আবু হানিফ ও শিক্ষক তামিম বিন ইউসুফকে আলোচিত এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
তাদের ৩০ জুলাই রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। এই জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার নতুন ক্লু পাওয়া যায়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ইন্সপেক্টর আবদুল খালেক জানান, রোববার রাতে একই মাদ্রাসার ছাত্র চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হানুড়বাড়াদী গ্রামের আনিসুজ্জামান, টেইপুর গ্রামের ছালিমির হোসেন, আকন্দবাড়িয়া গ্রামের আবু হানিফ রাতুল, আবদুর নুর ও বলদিয়া গ্রামের মুনায়েম হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়।
তারা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে আবির হুসাইনকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
পুলিশ সোমবার রাত ৯টার দিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে গ্রেফতারকৃত পাঁচ ছাত্রকে চুয়াডাঙ্গার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করে।
এ সময় আনিসুজ্জামান, ছালিমির হোসেন ও আবু হানিফ রাতুল আদালতের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান পিপিএম যুগান্তরকে বলেন, মাদ্রাসাছাত্র আবির হত্যাকাণ্ড নিয়ে আমরা খুব সাবধানে এগোচ্ছি।
তার হত্যাকারী ওই মাদ্রাসার তিন ছাত্র। তারা হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।
তবে কী কারণে তারা আবিরকে হত্যা করল তা নিয়ে আমরা এখনও কাজ করছি। তাদের সঙ্গে অন্য কেউ আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শিগগিরই হয়তো সব পরিষ্কার হয়ে যাবে।