দুর্নীতির অভিযোগে গাজীপুর সিটির ৩ কর্মকর্তা বরখাস্ত, ৬ জন চাকরিচ্যুত
গাজীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০১৯, ০২:০৭ পিএম
বিভিন্ন ঠিকাদারের নাম করে অর্থ আত্মসাৎ, ভবন নির্মাণের ব্যাগ-ডেটে প্ল্যান পাস, মেয়র-কাউন্সিলরদের নাম ভাঙিয়ে ফাইল আটকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়সহ নানা দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা, সহকারী প্রকৌশলী এবং ট্যাক্স আদায় ও নির্ধারণ কর্মকর্তাসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে তিনজনকে সাময়িক বরখাস্ত, ছয়জনকে চাকরি থেকে অব্যাহতি ও পাঁচজনকে শোকজ করা হয়েছে। নজরদারিতে রাখা হয়েছে আরও পাঁচ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে।
মঙ্গলবার সকালে নগর ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে সিটি মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এ তথ্য জানান।
মেয়র জানান, ঠিকাদারের নাম করে সিটি কর্পোরেশনের অ্যাকাউন্ট থেকে একাধিক চেকে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম, নিয়মবহির্ভূতভাবে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বাসাবাড়ি ও ফ্যাক্টরির ভবন নির্মাণের প্ল্যান ব্যাক-ডেটে (পেছনের তারিখ) পাস করে দেয়ার অভিযোগে সহকারী প্রকৌশলী মো. মোজাহিদুল ইসলাম, ফাইল আটকে মেয়র-কাউন্সিলরের নাম ভাঙিয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগে লাইসেন্স কর্মকর্তা মো. মোস্তফা কামালকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
অন্যদিকে সিটি কর্পোরেশনের ২২নং ওয়ার্ডের সচিব মাহাবুব আলম, ২৪নং ওয়ার্ডের সচিব জহির আলম, ৪২নং ওয়ার্ডের সচিব মো. আক্তার হোসেন, ৩২নং ওয়ার্ডের সচিব মাহাবুবুর রহমান, ৩৪নং ওয়ার্ডের সচিব মো. নাদিম হোসেন এবং ৪৯নং ওয়ার্ডের সচিব মো. মুক্তার হোসেনকে ফাইল আটকে মেয়র-কাউন্সিলরের নাম ভাঙিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগে চাকরি হতে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
এ ছাড়া নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে সিটি কর্পোরেশনের পাঁচ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। তারা হলেন- কর নির্ধারণ কর্মকর্তা আতাউর রসুল ভূঁইয়া, অফিস সহায়ক সোহেল, কর আদায় সহযোগী কালাম, ভূমি জরিপ শাখার সাইফুল ইসলাম ও কর নির্ধারণ সহযোগী কামরুজ্জামান।
সংবাদ সম্মেলনে সিটি মেয়র আরও জানান, ট্যাক্স, পানি ও বিদ্যুৎ শাখার আরও পাঁচ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে।