Logo
Logo
×

সারাদেশ

১৫ বছর পর দুই স্ত্রীকে নিয়ে বাড়িতে এসে বাবাকে তাড়ালো ছেলে

Icon

রাজাপুর (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০১৯, ০২:৩৯ পিএম

১৫ বছর পর দুই স্ত্রীকে নিয়ে বাড়িতে এসে বাবাকে তাড়ালো ছেলে

বৃদ্ধ খলিল ফরাজী

যে ছেলেকে বড় করতে সারা জীবন কষ্ট করেছেন কৃষক বাবা। সেই ছেলে জমি ও বাড়ির লোভে বাবাকেই ঘর থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে।

শুধু তাই নয়, বাবার সঙ্গে নিজের অসহায় বোনকেও তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এখন বৃদ্ধ বাবা ও বোন আশ্রয়ের খোঁজে পথে পথে ঘুরছেন।

ঝালকাঠির রাজাপুর সদর ইউনিয়নের বারবাকপুর গ্রামের মো. খলিল ফরাজী (৭৫) নিজের ছেলে মো. শাহিন ফরাজীর (৪৫) বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেছেন।

মেয়েসহ নিজের ঘরে আশ্রয় পেতে পুলিশের কাছে সাহায্যের আবেদন করেছেন।

সোমবার সন্ধ্যায় রাজাপুর প্রেস ক্লাবে এসে নিজের এ কষ্টের কথা তুলে ধরেন তিনি।

জানা গেছে, বৃদ্ধ খলিল ফরাজীর ৪ মেয়ে ও দুই ছেলে রয়েছে। দীর্ঘ রোগ ভোগের পর দেড় মাস আগে স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। বড় ছেলে বিদেশে থাকেন। সব মেয়েদের বিয়ে দিয়েছেন। তবে স্ত্রীর মৃত্যুর পর ছোট মেয়ে বৃদ্ধ বাবার দেখাশোনা করেন।

এদিকে দীর্ঘ ১৫ বছর পর হঠাৎ বাড়িতে আসেন ছেলে শাহিন ফরাজী। সঙ্গে আসেন তার দুই স্ত্রী। এরপর থেকেই বাবা ও বোনকে বাড়ি ছাড়া করতে দুই স্ত্রীকে নিয়ে নানা কূটকৌশলের আশ্রয় নেন শাহিন ফরাজী।

বৃদ্ধ খলিল ফরাজী বলেন, ‘দীর্ঘ ১৫ বছর শাহিন আমাদের কোনো খোঁজখবর নেয়নি। তার মায়ের মৃত্যুর পর হঠাৎ দুই স্ত্রীসহ বাড়িতে এসে হাজির হয়। জমি ও ঘর দাবি করে নানা কৌশলে আমাদের বাড়ি থেকে তাড়ানোর চেষ্টা করে। ঘর করার জন্য জমি দিলেও তাতে রাজি হয়নি শাহিন। সে পুরনো ঘর নেওয়ার জন্য গত শনিবার রাতে আমাকে ও মেয়েকে মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। পরে এক প্রতিবেশী রাতের জন্য আমাদের আশ্রয় দেয়। বর্তমানে আমি মেয়েকে নিয়ে দারুণ কষ্টে দিন কাটাচ্ছি।’

তিনি বলেন, সারা জীবন কৃষিকাজ করেছি। খুব অভাবের মধ্যেও যতটুকু পেরেছি  ছেলে মেয়েদের মানুষ করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু সেই ছেলের অত্যাচারে নিজের বাড়ি থেকে বৃদ্ধ বয়সে বিতারিত হবো কোন দিন ভাবিনি।’ কথাগুলো বলার সময় হাউমাউ করে কেঁদে ওঠেন তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাহিন ফরাজী বলেন, ‘১৫ বছর আগে আমার বোনেরা আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিল। আমি বাড়িতে থাকলে তাদের সমস্যা হয়। তাই মিথ্যা অভিযোগ করে আমাকে বাড়ি থেকে তাড়ানো চেষ্টা করছে তারা।’

রাজাপুর থানার ওসি মো. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম