মেয়ের চিকিৎসা করাতে গিয়ে স্বামীর ছুরিকাঘাতে গৃহবধূ খুন

বড়লেখা (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১০ জুন ২০১৯, ১০:৪৬ পিএম

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় অসুস্থ শিশুকন্যার চিকিৎসা করাতে গিয়ে স্বামীর ছুরিকাঘাতে নির্মমভাবে খুন হয়েছেন পান্না বেগম (৩০) নামে এক গৃহবধূ।
সোমবার সকালে উপজেলার নিজ বাহাদুরপুর ইউপির দৌলতপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী মতছিন আলী পলাতক।
বিকালে পুলিশ নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতলে প্রেরণ করে।
থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১০ বছর আগে বড়লেখা উপজেলার কলারতলি পার গ্রামের মাখই মিয়ার ছেলে মতছিন আলীর সঙ্গে বিয়ানীবাজার উপজেলার পাড়িয়াবহর গ্রামের ইসমাইল আলীর মেয়ে পান্না বেগমের বিয়ে হয়। তাদের দুটি সন্তান রয়েছে।
প্রায় ৪ মাস আগে স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে দুই বছরের শিশু সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়ি পাড়িয়াবহরে চলে যান পান্না বেগম। ওই সময় বড় মেয়ে সুহানাকে (৭) শ্বশুর বাড়ির লোকজন রেখে দেয়। সম্প্রতি সুহানা ইটাউরী গ্রামে তার ফুফুর বাড়িতে বেড়াতে এসে অসুস্থ হয়ে পড়ে। মেয়ে সুহানার অসুস্থতার খবর পেয়ে মা পান্না বেগম তাকে দেখতে বিয়ানীবাজার থেকে বড়লেখার ইটাউরীতে আসেন।
সোমবার সকাল ৭টার দিকে সুহানাকে স্থানীয় এক হুজুরের কাছে নিয়ে যাওয়ার সময় ইটাউরী এলাকায় পান্নার স্বামী মতছিন তাকে বাধা দেন। দৌলতপুর গ্রামে পৌঁছলে পান্নাকে তার সঙ্গে থাকা ছুরি দিয়ে উপর্যপুরি আঘাত করেন মতছিন। স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় বিয়ানীবাজার উপজেলা হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
বড়লেখা থানার এসআই সুব্রত কুমার দাস জানান, পারিবারিক কলহের জেরে পান্না বেগমকে তার স্বামী মতছিন ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছেন বলে আমরা প্রাথমিকভাবে জেনেছি। নিহতের লাশ বিয়ানীবাজার হাসপাতালে রয়েছে। পান্নার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী পলাতক রয়েছেন।