Logo
Logo
×

সারাদেশ

পিতার বয়স পুত্রের চেয়ে মাত্র দেড় বছর বেশি!

Icon

উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৪ মে ২০১৯, ০২:৫০ পিএম

পিতার বয়স পুত্রের চেয়ে মাত্র দেড় বছর বেশি!

কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার আবুবকর সিনিয়র মাদ্রাসার পিয়ন নিয়োগের ক্ষেত্রে ঘটেছে অদ্ভুত ও অবাস্তব এক ঘটনা।

যেখানে হিসাব করে দেখা গেছে, পুত্রের চেয়ে পিতা মাত্র দেড় বছরের বড়! উলিপুরের তবকপুর ইউনিয়নে আবুবকর সিনিয়র মাদ্রাসায় ২০১৬ সালে ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে ধরা পড়ে এমন অবাস্তব তথ্য।

এ অভিযোগ পাওয়া গেছে ওই মাদ্রাসার আনোয়ারুল ইসলাম নামে এমপিওভুক্ত এক পিয়নের ক্ষেত্রে।

ঘটনার অনুসন্ধানে জানা গেছে, ৫ম শ্রেণি পাস হলেও ৮ম শ্রেণি পাস দেখিয়ে নিয়োগ নেন আনোয়ারুল ইসলাম। ২০১৮ সালের মার্চ মাসে তার এমপিও হয়। এমপিও শিটে দেখা যায় ইনডেক্স ২১২১৭৮৫ নম্বরে আনোয়ারুল ইসলামের জন্ম তারিখ ২৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৫ খ্রি.।

অথচ তার জাতীয় পরিচয়পত্রে দেখা যায়, জন্ম ২৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৮ সাল। পিতা-উমর আলী, মাতা-মোছা. শেফালী বেগম। শিক্ষাগত যোগ্যতা ৫ম শ্রেণি। গ্রাম-খামার তবকপুর (০৭৬৩)। ভোটার সিরিয়াল নং-৫৮৩ এবং ভোটার নং-৪৯০৭৬৩৬৩৪৩৩৭।

একই ব্যক্তির দুই রকম জন্ম তারিখ বিষয়ে জানা গেছে, আনোয়ারুল ইসলাম চাকরিতে যোগদানের সময় বয়স লুকিয়েছেন; কিন্তু তার জাতীয় পরিচয়পত্রে আসল বয়সটি লিখেছেন।

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আনোয়ারুলের বড় ছেলে আবু সুফিয়ান ২০১০ সালে এসএসসি পাস করেছেন। এসএসসি সার্টিফিকেটে আবু সুফিয়ানের জন্ম তারিখ ১১ ডিসেম্বর ১৯৯৬ সাল।  

সে হিসাবে আনোয়ারুল ইসলাম তার ছেলের থেকে মাত্র দেড় বছরের বড়!

ভুয়া কাগজপত্রাদির মাধ্যমে চাকরি নিয়ে নিয়মিত সরকারি সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন আনোয়ারুল ইসলাম।

বয়স লুকানোর একই অভিযোগ এসেছে একই মাদ্রাসার আরেক পিয়ন কাবিল উদ্দিনের বেলায়। তিনিও ৫ম শ্রেণি পাস হয়ে ৮ম শ্রেণি পাস দেখিয়ে নিয়োগ নেন।


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই মাদ্রাসার কয়েক শিক্ষক জানান, আনোয়ারুল ইসলাম ইনডেক্স ২১২১৭৮৫ নম্বর এবং কাবিল উদ্দিন ২১১৮২৯২ ইনডেক্স নম্বরে নিয়মিত বেতনভাতা তুলেছেন।

তারা নিয়োগপত্রে জন্ম তারিখ ঠিক রেখে সাল পরিবর্তন করেছেন বলে জানান তারা।

এ বিষয়ে মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আইয়ুব আলী জানান, এ দুটি নিয়োগ আমার আমলে হয়নি। প্রয়াত অধ্যক্ষ আবদুল কুদ্দুছের সময় হয়েছে। তবে এ বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে তবকপুর আবুবকর সিনিয়র মাদ্রাসার বর্তমান সভাপতি অ্যাডভোকেট মুসা মিয়া বিষয়টি এড়িয়ে যান।

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শামসুল আলম জানান, ২০১৮ সালের বিধি মোতাবেক ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে কারও চাকরি করার নিয়ম নেই। তবে এমন অভিযোগের বিষয়টি এর আগে আমার জানা ছিল না। এখন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখে ব্যবস্থা নেব।

এই বিষয়ে অভিযুক্ত আনোয়ারুল ইসলামের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম