যৌক্তিক আন্দোলনের সঙ্গে আছি: রসিক মেয়র মোস্তফা
যুগান্তর রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৮ মে ২০১৯, ০৯:৪৫ এএম
বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন আয়োজিত এক মহাসমাবেশে রসিক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। ছবি-সংগৃহীত
রংপুর সিটি কর্পোরেশনের (রসিক) মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেছেন, বিড়ি শিল্পের সঙ্গে লাখ লাখ শ্রমিক জড়িত। আমার রংপুরের লাখ লাখ চাষী, ব্যবসায়ী জড়িত। হঠাৎ করে এ শিল্প বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে না। বিড়ি শিল্প টিকিয়ে রাখতে যৌক্তিক আন্দোলনের সঙ্গে আমি একত্বতা ঘোষণা করছি।
শনিবার বেলা ১১ টায় রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন আয়োজিত এক মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় বিড়ি শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধির জন্য বিড়ি মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমার শ্রমিক ভাইদের রুটি-রুজি এই বিড়ি শিল্প। যে কোনো মূল্যে এই শিল্প রক্ষা করা হবে। আপনারা যারা এ শিল্পের মালিক তাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি শ্রমিক ভাই বোনদের মজুরি বাড়াবেন।
বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি আমিন উদ্দীন বিএসসি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ৩০নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম তোতা।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল মতিন, যুগ্ম-সম্পাদক হারিক হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাসনাত লাভলু, প্রচার সম্পাদক শামিম ইসলাম, শ্রমিক নেতা আমিরুল ইসলাম, মোজাফফর হোসেন, রাশেদুল ইসলাম, জামিল আখতার, আফজাল হোসেন, গোলাপ হোসেন, হামিদার রহমান, জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ। সমাবেশে হাজার হাজার বিড়ি শ্রমিক উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিড়ির উপর ষড়যন্ত্রমূলকভাবে কর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত করের চাপে এ শিল্প ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। ফলে বেকার হয়ে পড়ছে লাখ লাখ বিড়ি শ্রমিক। কাজ না পেয়ে অনেকে অপরাধমূলক কর্মে লিপ্ত হয়ে পড়ছে। কর্ম হারিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে বিড়ি শ্রমিকরা। সরকার ধূমপান কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরাও চাই ধূমপান বন্ধ হোক। কিন্তু ধূমপান বন্ধের নামে সিগারেটকে একচেটিয়া ব্যবসার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। ধূমপান বন্ধের নামে শুধু বিড়িকে বন্ধ করার পাঁয়তারা করা হচ্ছে। আমরা এ ষড়যন্ত্র কোনোভাবে বাস্তবায়িত হতে দেব না। প্রয়োজনে রাজপথে কঠোর আন্দোলনে নামব।
এ সময় বিড়িকে কুটির শিল্প ঘোষণাসহ ৭ দফা দাবি তোলেন বক্তারা। দাবিগুলো হলো বিড়ির উপর অর্পিত সকল কর প্রত্যাহার করা, ভারতের ন্যায় এ শিল্পকে কুটির শিল্প ঘোষণা করা, বিদেশি সিগারেট বাংলাদেশে বন্ধ করা, বিড়ি শিল্পকে ধ্বংস করার পাঁয়তারা বন্ধ করা, বিড়ি যেন কম মূল্যে পাওয়া যায় সে ব্যবস্থা বজায় রাখা।
সমাবেশে বলা হয়, বাংলাদেশে সিগারেট যতদিন থাকবে, বিড়ি শিল্প ততদিন থাকবে ও প্রতি বছর বাজেটে বিড়ি সিগারেটের কর বৈষম্য দূর করতে হবে।