Logo
Logo
×

সারাদেশ

মাছ বিক্রেতার কাছে ক্ষমা চাইলেন সেই এসিল্যান্ড

Icon

যুগান্তর রিপোর্ট

প্রকাশ: ১৭ মে ২০১৯, ০৮:৩০ পিএম

মাছ বিক্রেতার কাছে ক্ষমা চাইলেন সেই এসিল্যান্ড

ফেঞ্চুগঞ্জের সহকারি কমিশনার (ভূমি) সঞ্চিতা কর্মকার। ছবি: সংগৃহীত

লাথি মেরে দোকানির মাছ ফেলে দেয়ার ঘটনায় ক্ষমা চেয়েছেন অভিযুক্ত ফেঞ্চুগঞ্জ সহকারি কমিশনার (ভূমি) সঞ্চিতা কর্মকার। এর মাধ্যমে গত কয়েকদিনের আলোচিত এ ঘটনার সমাধান হয়েছে।

ঘটনার পর ফেঞ্চুগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজি বদরুদ্দোজা জানান, গত বৃহস্পতিবার সব ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে ভুক্তোভোগী মাছ বিক্রেতাদের কাছে দুঃখ প্রকাশসহ ক্ষমা চেয়েছেন এসিল্যান্ড সঞ্চিতা কর্মকার এবং বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধান হয়েছে।

ঘটনাটি ফেঞ্চুগঞ্জে বেশ সমালোচিত হওয়ায় এ বিষয়ে আজ শুক্রবার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কাজি বদরুদ্দোজা।

সেখানে তিনি লেখেন, প্রিয় এলাকাবাসী গত রোববার সকালে ফেঞ্চুগঞ্জ পূর্ব বাজারে এসিল্যান্ড মহোদয় ও মাছ ব্যবসায়ীদের মধ্যে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে।  
ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ নুরুল ইলসাম মহোদয় এবং আমার উপস্থিতিতে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ফেঞ্চুগঞ্জ পূর্ব বাজারের ডাক বাংলোর ভূমি অফিসে বিষয়টি আপোষ মীমাংসার মাধ্যমে সুষ্ঠু ও সুন্দর সমাধান করা হয়েছে। এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য আমাদের এসিল্যান্ড মহোদয় দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

বিষয়টি নতুন করে আর সামনে না আনার জন্য স্থানীয় ও দেশবাসীর কাছে অনুরোধ জানান তিনি।

এসিল্যান্ড সঞ্চিতার বিরুদ্ধে ফেসবুকে আর কোনো কটাক্ষ বা তীর্যক মন্তব্য না করতেও অনুরোধ জানান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।

এ বিষয়ে মোবাইল যোগাযোগে অভিযুক্ত এসিল্যান্ড সঞ্চিতা কর্মকার যুগান্তরকে বলেন, বিষয়টি একেবারেই অনাকাঙ্ক্ষিত। আমি আগেও ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছি। এজন্য আমি দুঃখিত ও অনুতপ্ত।  আমি ওই মাছ বিক্রেতাদের কাছে স্থানীয় উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সামনেই ক্ষমা চেয়ে বিষয়টির মিমাংসা করেছি।

প্রসঙ্গত, গত রোববার সকাল বেলা এসিল্যান্ড কার্যালয়ের গেটের পাশে বসে মাছ বিক্রি করছিলেন কয়েকজন মাছ বিক্রেতা।

এ সময় গাড়ি নিয়ে অফিসে প্রবেশ করছিলেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) সঞ্চিতা কর্মকার।

অফিসের সামনে মাছের দূর্গন্ধে মেজাজ হারিয়ে ফেলেন তিনি। অফিসের প্রবেশ পথে গাড়ি থামিয়ে এক বিক্রেতাকে মাছের ঝুড়ি সরাতে বলেন।

এ সময় তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে লায়েক আহমেদ নামের এক মাছ বিক্রেতার ঝুড়িতে লাথি দেন। এতে লায়েক আহমেদ ও তার সঙ্গী হাসান মিয়ার মাছের ঝুড়ি পাশের ড্রেনে পড়ে যায়।

ঘটনার পরপর স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এসিল্যান্ডের এমন আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ও দ্রুত ঘটনাটির একটি সমাধান চান।

সুষ্ঠু বিচার না হলে এসিল্যান্ড সঞ্চিতা কর্মকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচির ঘোষণাও দেন তারা।

এ ঘটনার পর ১৬ মে (বৃহস্পতিবার) ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামের মধ্যস্ততায় বিষয়টির মীমাংসা হয়।

 

 

Jamuna Electronics
wholesaleclub

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম