Logo
Logo
×

সারাদেশ

সৌদির খেজুর গাছ বাংলাদেশে ছড়িয়ে দিতে চান সোনারগাঁয়ের জীবন আলী

Icon

আল আমিন তুষার, সোনারগাঁও

প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০১৯, ১১:৫৩ পিএম

সৌদির খেজুর গাছ বাংলাদেশে ছড়িয়ে দিতে চান সোনারগাঁয়ের জীবন আলী

সৌদি আরবের খেজুর গাছ বাংলাদেশে ছড়িয়ে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার শম্ভুপুরা ইউনিয়নের কাজিরগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুল আলী তাবু ফকিরের ছেলে জীবন আলী।

তিনি দীর্ঘ ১৫ বছর সৌদি আরবের আল-মাসানায় খেজুরের বাগানে কাজ করার সুবাদে বাংলাদেশে খেজুর বাগান করার উদ্যাগ নিয়েছেন।

৫০বছর বয়সী জীবন আলী প্রবাস জীবন শেষে এখন জীবন কাটাচ্ছেন নিজ হাতে গড়া খেজুর গাছের নার্সারি পরিচর্যা করে।

৩ সন্তানের জনক জীবন আলী প্রবাসে হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে ভাগ্যের চাকা ঘুরাতে না পারলেও সেখানে খেজুর বাগানে কাজ করার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে দেশে ফিরে নিজ গ্রামে গড়ে তুলেছেন খেজুর গাছের একটি নার্সারি।  

বৃক্ষপ্রেমী জীবন আলী বলেন, সৌদি আরবে কাজ করার সময়ই আমি পরিকল্পনা করেছিলাম দেশে একটি খেজুর গাছের নার্সারি করবো। যেহেতু খেজুর বাগানে কাজ করেছি সেহেতু এ বাগানের পরিচর্যা সম্পর্কে আমার সবকিছুই জানা।

আমি সৌদি থেকে খেজুরের বীজ নিয়ে দেশে এসে নার্সারির কাজ শুরু করি।  বর্তমানে আমার লাগানো বীজগুলো থেকে গজানো চারাগুলোর বয়স চার বছর। দশ বছর বয়স হলে খেজুর গাছে ফলন শুরু হবে।

সরেজমিন জীবন আলীর খেজুর গাছের নার্সারিতে গিয়ে দেখা যায়, জীবন আলী খেজুর গাছের পরিচর্যায় ব্যস্ত। তার নার্সারিতে প্রায় দেড় হাজারেরও বেশী বিভিন্ন জাতের খেজুর গাছের চারা রয়েছে।

প্রতিটি চারার মূল্য ২ থেকে ৩ হাজার টাকা।  মরিয়ম, এখলাস, শুক্কারি, ডেকলেট নূর ও আল-খুদরীসহ বিভিন্ন জাতের খেজুরের চারা পাওয়া যায় তার নার্সারিতে।  

জীবন আলী শুধু একজন বৃক্ষপ্রেমীই নন,  তিনি সংস্কৃতিমনা একজন মানুষও বটে।  আপন খেয়ালে নিজেই গান রচনা করে তাতে সুর তুলে গান গায় তিনি।  ঘরে একতারা, দোতারা, বাঁশী ও হারমোনিয়াম সবই আছে।

জীবন আলী জানান, খেজুর গাছ বিক্রির উপযুক্ত করতেই কমপক্ষে ৩/৪ বছর লেগে যায়।  আর ফলনের জন্য লাগে ১০ বছর।

নার্সারিতে বর্তমানে বিভিন্ন বয়সী খেজুরের চারা আছে। খেজুর গাছ চাষের মাধ্যমে  দেশে খেজুরের আমদানী নির্ভরতা কমবে।

দশ বছর আগে সৌদি থেকে ছুটিতে এসে কাজিরগাঁও কবরস্থানে কয়েকটি বীজ রোপণ করেছিলাম, আজ সে গাছগূলোতে ফলন এসেছে।

তিনি বলেন, খেজুর বাগান করা একটি দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার।  এছাড়া খরচও অনেক বেশি।  সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগীতা  পেলে বাংলাদেশে আরবের খেজুর ছড়িয়ে দেয়া যাবে।  

সোনারগাঁ উপজেলা কৃষি অফিসার মনিকা আক্তার বলেন, এবছর জীবন আলী তার খেজুরের চারা নিয়ে উপজেলা বৃক্ষমেলায় অংশ নিয়েছিলেন।  এখানে বেশ কিছু খেজুর চারা বিক্রিও হয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে আরবের খেজুর গাছের নার্সারি নেই বললেই চলে। জীবন আলীর এই উদ্যোগ প্রশংসার যোগ্য। আমরা তার নার্সারির খোঁজখবর নিচ্ছি। উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে তাকে যথাসাধ্য সহযোগীতা করা হবে।

 

Jamuna Electronics
wholesaleclub

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম