ধার করা ছুরি দিয়ে হত্যা করা হয় শারমিনকে
গাজীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১ এপ্রিল ২০১৯, ০৭:৫৩ পিএম
কলেজছাত্রী শারমিন আক্তার ওরফে লিজা
গাজীপুরের কোনাবাড়ী আমবাগ এলাকার প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে কলেজছাত্রী শারমিন আক্তার ওরফে লিজা (১৮)। এতে রাগে ও ক্ষোভে হত্যার পরিকল্পনা করে মোস্তাকিম রহমান ওরফে রাজু (১৯)।
পরিকল্পনা মোতাবেক বন্ধুর কাছে থাকা সুইচ গিয়ার (চাকু) ধার নিয়ে মোস্তাকিম বুধবার দুপুরে খুন করে কলেজছাত্রী শারমিন আক্তার ওরফে লিজাকে।
গাজীপুরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল আদালতে ১৬৪ ধারায় দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জাবানবন্দিতে হত্যার কথা স্বীকার করে মোস্তাকিম। বৃহস্পতিবার বিকালে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল আদালতের বিচারক মো. হামিদুল ইসলামের কাছে এ জবানবন্দি দেয় সে।
উল্লেখ্য, প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ী কাঁচাবাজার এলাকায় বুধবার দুপুরে প্রকাশ্যে কলেজছাত্রী শারমিনকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে মোস্তাকিম। পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা ধাওয়া করে তাকে আটক করে পুলিশে দেয়।
এ ঘটনায় কোনাবাড়ী থানায় গ্রেফতার মোস্তাকিমসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলার অন্যান্য আসামিরা হলো মো. শামিম (২০), মো হায়দার (২০), মো. জুয়েল (১৯) ও মো. রোমান (২০)
নিহত শারমিন আক্তার গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ী থানাধীন আমবাগ এলাকার গাড়িচালক শফিকুল ইসলামের মেয়ে। সে কোনাবাড়ী ক্যামব্রিজ কলেজের একাদশ শ্রেণির মানবিক বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিল।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোনাবাড়ী মেট্রোপলিটন থানার পরিদর্শক কালিন্দনাথ গোলদার বলেন, কোনাবাড়ি আমবাগ পশ্চিমপাড়া এলাকার বাসিন্দা ও বখাটে কলেজ ছাত্র মোস্তাকিম রহমান ওরফে রাজুকে গ্রেফতারের পর গত বৃহস্পতিবার বিকালে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়। পরে আদালতের বিচারক মো. হামিদুল ইসলামের কাছে মোস্তাকিম শারমিন আক্তার ওরফে লিজাকে হত্যার কথা স্বীকার করায় তার রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানো নির্দেশ দেন।
শারমিনের পিতা শফিকুল ইসলাম বলেন, বাজারের ব্যবসায়ীরা শারমিনকে চাকু মারতে দেখেছে এবং আসামিও আদালতে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। তিনি এখন হত্যাকারীর ফাঁসি চান।
গাজীপুর মেট্রোপলিটনের কোনাবাড়ী থানার ওসি এমদাদুল হক জানান, গ্রেফতারকৃত মোস্তাকিম আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। তার ছুরির আঘাতে শারমিনের গলার শ্বাসনালী কেটে যায়। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।