মঠবাড়িয়ায় আ’লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীকে কুপিয়ে জখম
মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০১৯, ১২:৩০ এএম
মঠবাড়িয়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় আহতরা। ছবি: যুগান্তর
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় আওয়ামী লীগ উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হোসাইন মোশারেফ সাকুকে কুপিয়ে জখম করেছেন বিদ্রোহী প্রার্থী (আনারস প্রতীক) রিয়াজুল ইসলামের সমর্থকরা। এ সময় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২০ জন।
শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার গুলিসাখালী বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহত আওয়ামী লীগ উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হোসাইন মোশারেফ সাকু, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক ও হলতা গুলিসাখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রিয়াজুল আলম জনোসহ পাঁচজনকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও টিকিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রিপন জমাদ্দার জানান, শনিবার রাতে উপজেলার গুলিসাখালী বাজারে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী হোসাইন মোশারেফ সাকুর নির্বাচনী জনসভা হয়। জনসভা শেষে ফেরার সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী রিয়াজউদ্দিন আহমেদের (আনারস প্রতীক) সমর্থকরা হামলা চালান।
এ সময় প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুলিসাখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রিয়াজুল আলম জনোসহ অন্তত ২০ জন আহত হন।
খবর পেয়ে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী হোসাইন মোশারেফ সাকু ঘটনাস্থলে পৌঁছালে উপজেলা আওয়ামী লীগ সদস্য ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুর রহমানের নেতৃত্বে হোসাইন মোশারেফের ওপর হামলা করা হয়।
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
আশরাফুর রহমানের বড় ভাই উপজেলা আওয়ামী লীগ সদস্য ও স্বতন্ত্র প্রার্থী রিয়াজউদ্দিন আহমেদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, শনিবার রাত ১০টার দিকে রিয়াজুল আলমের নেতৃত্বে গুলিসাখালী বাজারে অবস্থিত আমার (আনারস প্রতীক) নির্বাচনী কার্যালয় ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কার্যালয় ভাঙচুর করে। এ সময় হলতা গুলিসাখালী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আলাউদ্দিনকে মারধর করেন। এতে স্থানীয় জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের ওপর হামলা করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মনিরুজ্জামান বলেন, আহত ২০ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। রিয়াজুল আলম ও হোসাইন মোশারেফ সাকুসহ পাঁচজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
রিয়াজুল আলমের মাথায় ধারালো অস্ত্রের জখম রয়েছে। হোসাইন মোশারেফের শরীর ও হাতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
মঠবাড়িয়া থানার ওসি এমআর শওকত আনোয়ার ইসলাম বলেন, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, মঠবাড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আশরাফুর রহমানের বিরোধ রয়েছে।
উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে আশরাফুর রহমান দলীয় মনোনয়ন পাওয়া থেকে বঞ্চিত হন। এর পর আশরাফুর রহমানের বড় ভাই রিয়াজউদ্দিন আহমেদ স্বতন্ত্র প্রার্থী হন। আগামী ৩১ মার্চ এ উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।