
প্রিন্ট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৫৫ এএম
রংপুরে স্ত্রীকে তালাক দেয়ায় সালিশের সামনে হামলা-ভাঙচুর-লুটপাট!

পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০১৯, ০৬:১৫ পিএম

আরও পড়ুন
রংপুরের পীরগঞ্জে স্ত্রীকে তালাক দেয়ার ঘটনায় গ্রাম্যসালিশে দুই ইউপি সদস্যের উপস্থিতিতে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর করে ২টি মোটরসাইকেল, গরুসহ আসবাবপত্র লুটপাট করা হয়েছে।
উপজেলার উত্তর জাফরপাড়া গ্রামে ওই ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, উপজেলার মদনখালী ইউনিয়নের উত্তর জাফরপাড়ার আফজাল হোসেনের ছেলে ওবায়দুল হক (২২) ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। প্রায় ২ বছর আগে তার সঙ্গে একই গার্মেন্টসে একই ইউনিয়নের ঠাকুরদাস লক্ষ্মীপুর গ্রামের মমতাজ হোসেনের মেয়ে মুক্তা রানীর পরিচয় থেকে প্রেমের সম্পর্ক হয়।
পরে তারা ৩ লাখ টাকা দেনমোহরে ঢাকাতেই পরিবারের অসম্মতিতে বিয়ে করেন। বিয়ের পরই পারিবারিক অশান্তি শুরু হলে ২ বছর পর ওবায়দুল তার নিঃসন্তান স্ত্রীকে তালাক দেন।
এ নিয়ে গত ১৬ মার্চ বিকালে ওবায়দুলের বাড়িতে ওই ইউপির দুই সদস্য আকমল হোসেন ও সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে সালিশ বসে। সালিশে বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে দুই ইউপি সদস্য ওবায়দুলের ওপর ক্ষেপে গেলে সাবেক স্ত্রীর পক্ষের লোকজন বাড়িতে হামলা চালিয়ে ২টি মোটরসাইকেল, ৩টি গরু, ঘরের আসবাবপত্রসহ ৫ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুটে নিয়ে যায়।
সালিশে সমঝোতা না হওয়ায় ওবায়দুলের পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখায় তারা থানায় মামলা করতেও আসতে পারছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় থানার এসআই সাদ্দাম হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এ ব্যাপারে প্রত্যক্ষদর্শী গ্রামটির স্কুলশিক্ষক মোক্তার হোসেন বলেন, সালিশে আসা মমতাজ হোসেন, রহেদুল, বুদু, সাইদুল ইসলাম, শাহীন, মাসুদসহ বেশ কয়েকজনের হাতে দেশীয় ধারালো অস্ত্র থাকায় আমরা গ্রামবাসী ভয়ে তটস্থ হয়ে হামলাকারীদের লুটপাটের দৃশ্য নীরবে দেখি। বাধা দিতে গেলেই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে প্রাণহানি হতো।
ইউনিয়নটির চেয়ারম্যান শামছুল আলম বলেন, লুট হওয়া ২টি মোটরসাইকেল ও ৩টি গরু উদ্ধার করে দিয়েছি। শুনেছি, ছেলেপক্ষের পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।
ইউপি সদস্য আকমল হোসেন বলেন, আমরা জনপ্রতিনিধি হিসেবে সালিশে গিয়েছিলাম। লুটপাটের সঙ্গে আমি জড়িত নই।
লুটপাটের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এসআই সাদ্দাম হোসেন বলেন, প্রাথমিক অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্তরা এখনও মামলা করতে আসেনি। ওই এলাকায় চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে।