রাজশাহীর ‘প্রথম’ শহীদের স্বীকৃতি চায় শামসুলের পরিবার
রাজশাহী ব্যুরো
প্রকাশ: ১৩ মার্চ ২০১৯, ১১:৪০ এএম
মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আলমের পরিবারের সংবাদ সম্মেলন
একাত্তরের ২৬ মার্চ পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে রাজশাহী মহানগরীর শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানার সামনে রাস্তায় গাছ ফেলে বেরিকেড দিতে যান দুই শতাধিক ব্যক্তি। সেখানে হানাদার বাহিনীর হাতে শহীদ হন মহানগরীর লক্ষ্মীপুর ভাটাপাড়া এলাকার শামসুল আলম।
কিন্তু শহীদ নয়, শামসুল আলমের স্বীকৃতি মিলেছে জীবিত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে। তার পরিবারের দাবি, শামসুল আলম রাজশাহীর ‘প্রথম’ শহীদ। তাকে শহীদ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হোক।
এ দাবিতে পরিবারের সদস্যরা মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী মেট্রোপলিটন প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
শহীদ শামসুল আলমের ছেলে মহব্বত আলীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তার প্রতিবেশি মামুন-অর-রশিদ।
সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নিয়ে শামসুল আলম নির্মমভাবে শহীদ হন। শহীদ মুক্তিযোদ্ধার অধিকার প্রতিষ্ঠায় তারা বিভিন্ন জায়গায় আবেদন করেন। এরপর ২০০৫ সালের ৩১ মার্চ জেলা প্রসাশকের কার্যালয়ের একজন ম্যাজিস্ট্রেট তদন্ত করে প্রতিবেদন দেন যে, শামসুল আলম একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা। পরবর্তীতে রাজশাহী সেনানিবাসের ১৫ সদস্যের একটি দল শামসুল আলমের কবর পরিদর্শন করেন এবং শহীদ মুক্তিযোদ্ধার স্বপক্ষে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
এর আগে ১৯৭২-৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শহীদ ও যদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের ২ হাজার টাকার যে চেক প্রদান করেছিলেন সেটিও শামসুল আলমের পরিবার পেয়েছিল। কিন্তু ২০০৬ সালে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে একটি সনদপত্র প্রদান করা হয়, যেখানে শামসুল আলমকে জীবিত দেখানো আছে। এর গেজেট নম্বর- ২১৫। এ কারণে শামসুল আলম শহীদের মর্যাদা পাননি।
শামসুল আলমের ছেলে মহব্বত আলী বলেন, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বাবার কবরটি সংরক্ষণ করা হয়নি। আমরা সব সময় অবহেলা পেয়েছি। বাবার রেখে যাওয়া সামান্য সম্পদটিও আত্মীয়স্বজনরা দখল করে রেখেছে। বর্তমানে আমি ভাড়া বাসায় অনেক কষ্টে দিনাতিপাত করছি।
তিনি বলেন, সরকারের কাছে আমাদের দাবি, আমার বাবাকে শহীদ মুক্তিযোদ্ধার মর্যাদা প্রদান করা হোক। আর শহীদ পরিবার হিসেবে আমাদের সরকারি সহযোগিতা করা হোক।