কুমিল্লায় অপহরণের পর স্কুলছাত্রকে মাটি চাপা দিয়ে হত্যা

কুমিল্লা ব্যুরো
প্রকাশ: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১০:২৬ পিএম

কুমিল্লায় অপহরণের পর আট লাখ টাকা চাঁদা না দেয়ায় আলী আব্বাস তৌহিদ নামে নবম শ্রেণির ছাত্রকে মাটি চাপা দিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রোববার রাতে জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার কোটবাড়ি এলাকা থেকে ওই ছাত্রকে অপহরণ করে পরিবারের কাছে চাঁদা দাবি করা হয়। পরে উপজেলার গন্ধমতি এলাকায় তাকে হত্যার পর লাশ বালু চাপা দিয়ে রাখে অপহরণকারীরা।
সোমবার বিকালে দুই অপহরণকারীর দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার করা হয়।
সদর দক্ষিণ থানার এসআই নাজমুল হাসান জানান, কোটবাড়ির পার্শ্ববর্তী সালমানপুর গ্রামের আবু মুছার ছেলে আলী আব্বাস তৌহিদ রোববার রাতে ভগ্নিপতির বাসা থেকে ফেরার পথে অপহৃত হয়। এ সময় অপহরণকারীরা ওই স্কুলছাত্রের পরিবারের কাছে আট লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। সময় মত চাহিদা অনুযায়ী চাঁদার টাকা পরিশোধ না করায় অপহরণকারীরা তৌহিদকে কোটবাড়ীর গন্ধমতি পাহাড়ী এলাকায় নিয়ে হত্যার পর লাশ মাটিতে পুতে রাখে।
তিনি জানান, সোমবার সকালে পরিবারের পক্ষ থেকে কোটবাড়ি পুলিশ ফাঁড়িতে সাধারণ ডায়েরি করলে পুলিশ তদন্তে নামে। পরে দুপুরে অপহরণকারীদের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তারা কুমিল্লা শহরের সাত্তারখান কমপ্লেক্সে এসে টাকা দিতে বলে। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে পুলিশ সাত্তার খানের পার্কিং এলাকায় অপু নামের এক অপহরণকারীকে কৌশলে আটক করে।
এসআই নাজমুল জানান, তার স্বীকারোক্তিতে কুমিল্লা রেল স্টেশনের আজমিরী হোটেলের ম্যানেজার মাজহারুল ইসলামকে আটক করা হয়। মাজহারুল অপরহণের পর তৌহিদকে হত্যা করে গন্ধমতি বালুর মাঠে লাশ পুঁতে রাখার কথা স্বীকার করে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সন্ধ্যায় ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ব্যাপারে সদর দক্ষিণ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ওসি মামুন অর রশীদ জানান, মোবাইল ফোনের সুত্র ধরে ২ অপহরনকারীকে আটকের পর স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত বাকি ঘাতকদেরকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।