Logo
Logo
×

সারাদেশ

রাবি শিক্ষক রেজাউল হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী শরিফুল আটক

Icon

রাজশাহী ব্যুরো

প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০১৯, ০৯:০২ পিএম

রাবি শিক্ষক রেজাউল হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী শরিফুল আটক

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. এএফএম রেজাউল করিম সিদ্দিকী

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. এএফএম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত প্রধান আসামি শরিফুল ইসলাম ওরফে খালিদকে (২৭) গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

র‌্যাবের বরাত দিয়ে শনিবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন নিহত ড. রেজাউল করিমের মেয়ে রেজওয়ানা শতভী।

জানা গেছে, শুক্রবার বিকাল ৩টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল-মহিপুর রোড থেকে রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যা মামলার প্রধান আসামি ও গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি জেএমবির শীর্ষ নেতা শরিফুল ইসলাম ওরফে খালিদকে গ্রেফতার করা হয়।

২০১৬ সালের ২৩ এপ্রিল সকালে রাজশাহী নগরের শালবাগান এলাকায় নিজ বাড়ির পাশে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয় রেজাউল করিম সিদ্দিকীকে। এ ঘটনায় তার ছেলে রিয়াসাত ইমতিয়াজ সৌরভ নগরীর বোয়ালিয়া থানায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।

আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ৬ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। সেখানে আসামি হিসেবে জেএমবির আট জঙ্গির নাম উল্লেখ করা হয়।

আটজনের মধ্যে খায়রুল ইসলাম বাঁধন, নজরুল ইসলাম ওরফে হাসান ওরফে বাইক হাসান ও তারেক হাসান ওরফে নিলু ওরফে ওসমান অভিযোগপত্র দেয়ার আগেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।

ঘটনার দুই বছর পর গত বছরের ৮ মে হত্যা মামলায় আসামিদের মধ্যে বগুড়ার শিবগঞ্জের মাসকাওয়াত হাসান ওরফে আবদুল্লাহ ওরফে সাকিব এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলামের ফাঁসির রায় দেয়া হয় এবং নীলফামারীর মিয়াপাড়ার রহমত উল্লাহ, রাজশাহী মহানগরীর নারিকেলবাড়িয়া এলাকার আবদুস সাত্তার এবং তার ছেলে রিপন আলীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। যদিও আসামিদের মধ্যে হত্যার ‘মূল পরিকল্পনাকারী’ শরিফুল ইসলাম পলাতক ছিলেন।

এদিকে হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইণ্ড এই আসামিকে গ্রেফতারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়ে রেজওয়ানা শতভী বলেন, শুক্রবার বাবার হত্যাকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দীর্ঘ তিন বছর পর হলেও প্রধান আসামি গ্রেফতার হয়েছে। আমরা চাই আদালত যে রায় দিয়েছে সেটি দ্রুত কার্যকর হোক।

Jamuna Electronics
wholesaleclub

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম