প্রধানমন্ত্রীর নামে মেয়রের মাছ ছিনতাই!

পটুয়াখালী (দ.) পটুয়াখালী
প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০১৯, ০৮:৪৯ পিএম

কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র আবদুল বারেক মোল্লা
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের এসআই শাহ-আলমের কিনে রাখা কোরাল মাছ জোর করে নিয়েছেন কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র আবদুল বারেক মোল্লা।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দেয়ার কথা বলে তার মাছ কেড়ে নেয়া হয়েছে। এমন আভিযোগ ওই পুলিশ কর্মকর্তার।
বিষয়টি কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক পটুয়াখালী, পুলিশ সুপার পটুয়াখালী, ট্যুরিস্ট পুলিশ সুপারকে, বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজিকে অবহিত করা হয়েছে বলেও জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
তবে পুলিশের মাছ কেড়ে নেয়ার বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করেছে অভিযুক্ত মেয়র।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের এসআই শাহ আলম জানান, ১ ফেব্রুয়ারি তার ভাইয়ের মেয়ের বিয়ের জন্য ৩-৪ দিন আগে ১০ কেজি ৩০০ গ্রাম ও ৬ কেজি ১০০ গ্রাম ওজনের দুটি কোরাল মাছ নগদ ২২ হাজার টাকায় ক্রয় করেন। ক্রয়কৃত মাছ পরে কুয়াকাটা মাছ বাজারে বশিরের মৎস্য আড়তের ফ্রিজে রাখা হয়। শুক্রবার বিকালে সেই মাছ বাড়িতে পাঠানোর কথা ছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানোর কথা বলে শুক্রবার দুপুরে বশিরের আড়তে গিয়ে জোরপূর্বক এ মাছ নিয়ে যায় কুয়াকাটা পৌর মেয়র আ. বারেক মোল্লা নিজেই।
এসআই শাহ আলম আরও জানান, মেয়রকে সবকিছু খুলে বলে অনুরোধ করার পরও এ মাছ নিয়ে নেয়। একপর্যায়ে মেয়র তাকে বলেন, ‘এই মাছ প্রধানমন্ত্রীর দফতরে পাঠাতে হবে। আমি কুয়াকাটার মেয়র। আমি এত বড় মাছ পাই না, আর তোমরা পুলিশ হইয়া এত বড় মাছ এখান থেকে নিবা?’
তাৎক্ষণিক বিষয়টি মহিপুর থানার ওসি সাইদুর রহমান, কুয়াকাটা নৌপুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ রেজাউল করিমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে জানান এসআই শাহ-আলম।
বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে জানিয়ে মহিপুর থানার ওসি সাইদুর রহমান জানান, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। সামান্য মাছ! পুলিশের ক্রয় করা সেই মাছও যদি রক্ষা না পায়!
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আড়তদার বশির যুগান্তরকে জানান, শাহ আলম স্যারের দুটি কোরাল মাছ আমি ম্যানেজ করে দিয়েছি। তার মাছ পাইলেই তো হয়।
শুক্রবার পৌর মেয়র তার দোকান থেকে কোরাল মাছ নিয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মেয়র সাহেব তো প্রায়ই মাছ নেয়। গতকালও কোরাল মাছ নিছে।
সেই মাছ শাহ-আলমের ক্রয় করা মাছ কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভাই এসব বাদ দেন এখন। শাহ-আলম স্যারকে মাছের ব্যবস্থা করতেছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুয়াকাটা পৌর মেয়র আবদুল বারেক মোল্লা যুগান্তরকে জানান, নগদ টাকায় মাছ ক্রয় করা হয়েছে। কারো মাছ কেড়ে নেয়া হয়নি। এটি আমার বিরুদ্ধে একটি মহল ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে।