
প্রিন্ট: ০৯ মার্চ ২০২৫, ১০:৪৮ পিএম
বগুড়ায় সাইবার পুলিশের যাত্রা শুরু

বগুড়া ব্যুরো
প্রকাশ: ২৪ জানুয়ারি ২০১৯, ০৫:১৭ পিএম

বগুড়ায় সাইবার অপরাধ দমনে সাইবার পুলিশের কার্যক্রম উদ্বোধন
আরও পড়ুন
বগুড়া ও আশপাশের জেলায় সাইবার অপরাধ দমনে সাইবার পুলিশ বগুড়ার (সিপিবি) যাত্রা শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বগুড়া পুলিশ সুপার কার্যালয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কেক কেটে এর কার্যক্রম উদ্বোধন করেন রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি এম খুরশীদ হোসেন।
বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে সদ্য পদোন্নতি পাওয়া পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মণ্ডল, মোকবুল হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান, মশিউর রহমান, সদর থানার ওসি এসএম বদিউজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিআইজি এম খুরশীদ হোসেন বলেন, আগে আমরা জঙ্গি ও মাদক নিয়ে কাজ করলেও এখন সঙ্গে যোগ হয়েছে সুশাসন। ডিজিটাল যুগে প্রবেশের পর থেকে দেশে সাইবার অপরাধ বাড়তে শুরু করেছে। এর প্রধান শিকার হচ্ছেন নারীরা। এ সাইবার অপরাধ দমনে পুলিশের পাশাপাশি মিডিয়াকে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, বগুড়ার সাইবার ইউনিটের সদস্যরা খুব সক্রিয়। আশা করা হচ্ছে, সাইবার অপরাধ দমনে আরও সফল এবং প্রতিটি মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুঞা জানান, গত বছরের ১৪ আগস্ট থেকে বগুড়ায় পরীক্ষামূলকভাবে সাইবার পুলিশের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর বগুড়া ছাড়াও বিভিন্ন জেলা থেকে এ পর্যন্ত ৩৭টি অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যে তদন্তসাপেক্ষে ১৯টি অভিযোগের নিষ্পত্তি হয়েছে।
তিনি বলেন, আপত্তিকর ব্যক্তিগত ছবি বা ভিডিও, মিথ্যা তথ্য, বিভিন্ন ধরনের গুজব ইত্যাদি ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানোসহ মোট ২১ ধরনের অপরাধকে সাইবার অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে, একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, চারজন ইন্সপেক্টরসহ মোট ১২ জন বগুড়া সাইবার ইউনিটে কাজ করছে। বগুড়া ছাড়াও আশপাশের জেলা থেকেও অভিযোগ নেয়া হচ্ছে বলে জানান পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুঞা।
সিপিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘কেউ যদি সাইবার অপরাধের শিকার হন তাহলে তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ, সাধারণ ডায়েরি বা মামলা করতে হবে। পরে সেই অভিযোগের কপি বগুড়া পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অবস্থিত সিপিবি ইউনিটে জমা দিতে হবে।’
এছাড়া ফেসবুক-সংক্রান্ত অভিযোগের ক্ষেত্রে সাধারণ ডায়েরি বা মামলায় ফেসবুক আইডির ইউআরএল লিঙ্ক ও নিউমেরিক ভ্যালু অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে। পাশাপাশি অপরাধসংশ্লিষ্ট পেজের স্ক্রিনশর্ট সংযুক্ত করতে হবে। তাছাড়া কোনো আপত্তিকর ছবি বা ভিডিও থাকলে তার কপি এবং লিঙ্ক সংযুক্ত করতে হবে।