সুবর্ণচরে গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার ৩
যুগান্তর রিপোর্ট, নোয়াখালী
প্রকাশ: ০২ জানুয়ারি ২০১৯, ০৬:৪২ পিএম
প্রতীকী ছবি
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ঘরে ঢুকে স্বামী-সন্তানদের বেঁধে পিটিয়ে আহত করে তাদের সামনে গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত সোমবার থেকে তিন দিনে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতাররা হলো- ওই গ্রামের আহাম্মদ উল্লার ছেলে বাদশা আলম (৩৫), একই গ্রামের মৃত আবদুল মন্নানের ছেলে আওয়ামী লীগ কর্মী স্বপন (৩০) ও ইসমাইলের ছেলে আওয়ামী লীগ কর্মী মো. সোহেল (৩৫)।
অভিযোগ উঠেছে- নির্যাতিতা নারীর স্বামী বাদী হয়ে একই গ্রামের ইউপি সদস্য রুহুল আমিন, মোশাররফ হোসেন, বাদশা, সোহেল, হেঞ্জু, সোহেল, বেচু, জসিম, স্বপন, মো. হানিফ, আবুল, আনোয়ার, আমির হোসেনসহ ১৩ জনকে আসামি করে থানায় অভিযোগ করলেও খোরশেদের ছেলে ইউপি সদস্য রুহুল আমিন, চান মিয়ার ছেলে হেঞ্জু, ইউছুফ মাঝির ছেলে আনোয়ারসহ ৪ জনকে অভিযোগ থেকে বাদ দিয়ে ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা এজাহারভুক্ত করেন ওসি।
সূত্র জানায়, ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দেয়ার জেরে গত রোববার রাত ১১টায় উপজেলা চর জুবলি ইউনিয়নের মধ্যম বাগ্যা গ্রামে সিএনজিচালক মো. সিরাজ, ছেলে আবদুল কুদ্দুছ ও শিশু ইয়ানুরকে বেঁধে পিটিয়ে আহত করে। পরে তাদের সামনেই গৃহবধূর ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায়।
ওই গৃহবধূকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ-যুবলীগের লোকজন গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ওঠে। পরে ওই নারীসহ তার স্বামী-সন্তানদের নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালের গাইনি বিভাগের চিকিৎসক মমতাজ বেগম ও সিনিয়র নার্স সাজেদা বেগমসহ অপর নার্সরা যুগান্তরকে জানান, গৃহবধূকে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। তার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে কামড়ে রক্তাক্ত করা হয়েছে।
এ সংবাদ যুগান্তরসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশিত হলে পুলিশ-প্রশাসনসহ সারা দেশে তোলপাড় শুরু হয়। পরে পুলিশ গত মঙ্গলবার সকালে ওই গ্রামের আহাম্মদ উল্লার ছেলে বাদশা আলমকে গ্রেফতার করে।
এদিকে একই দিনে একই গ্রামের মৃত আবদুল মন্নানের ছেলে আওয়ামী লীগ কর্মী স্বপনকে লক্ষ্মীপুর এবং বুধবার ইসমাইলের ছেলে আওয়ামী লীগ কর্মী মো. সোহেলকে কুমিল্লা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
চর জব্বর থানার ওসি নিজাম উদ্দিন যুগান্তরকে জানান, আহত সিএনজিচালকের স্ত্রীকে সন্ত্রাসীরা ধর্ষণ করায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।