অক্ষত কোরআন শরীফ দুটি। ছবি: যুগান্তর
নড়াইল সদর উপজেলার তুলারামপুর ইউনিয়নের পেড়লী গ্রামে অগ্নিকান্ডে তিনটি পরিবারের চারটি ঘর ও আসবাবপত্রসহ সবকিছুই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তবে ঘরে থাকা পবিত্র কোরআন শরীফ দুটি অক্ষত রয়েছে।
শুক্রবার দিনগত রাত ১১টার দিকে ওই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ চার লাখ টাকা হবে বলে ক্ষতিগ্রস্থরা দাবি করেন।
স্থানীয়রা জানান, পেড়লী গ্রামের দরিদ্র কৃষক আল আমিন মোল্যার রান্নাঘর থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটে। রাত ১১টার দিকে আগুনের তাপে তাদের ঘুম ভেঙ্গে যায়। আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়লে আল আমিনের বসতঘরসহ পাশের নাজির মোল্যার বসতঘর ও শাহীন মোল্যার একটি রান্না ঘর পুড়ে যায।
তাড়াহুড়া করে সবাই ঘর থেকে বের হয়ে চিৎকার দিলে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। তবে ঘরের মধ্যে থাকা ছাগল ও হাসমুরগি ও অন্যান্যা মালামাল বের করার কোনো সুযোগ হয়নি।
এলাকার লোকজন এগিয়ে এসে আধাঘন্টাব্যাপী চেষ্টায় আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। পরে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি এসে পানি দিয়ে পুরোপুরি আগুন নেভানো সম্ভব হয়। আগুনে আল আমিনের একটি ছাগল ও বেশ কয়েকটি হাস-মুরগিসহ তিনটি পরিবারের সহায় সম্বল সবকিছুই পুড়ে গেছে।
নড়াইল ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আহাদুজ্জামান বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খরব শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
এদিকে নাজির মোল্যার ঘরে তার সন্তানের বই খাতার পাশাপাশি দুটি পবিত্র কোরআন শরীফ রাখা ছিল। বইখাতা গুলি এবং কোরআন শরীফ রাখার জন্য কাঠের তৈরি রেহেল পুড়ে গেলেও কোরআন শরীফ দুটি অক্ষত আছে। কোরআন শরীফের কোন অক্ষরও পুড়েনি।
নড়াইল কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা শফিউল্লাহ বলেন, আল্লাহপাক পবিত্র কোরআন শরীফ নাজিল করেছেন। তিনিই তার রক্ষাকারী। মানুষের ঈমান আমল নষ্ট হতে চলেছে। এখনই আল্লাহর দেয়া বিধান মেনে চলে ঈমান আমলকে মজবুত করা প্রয়োজন।