
প্রিন্ট: ০১ মে ২০২৫, ১১:৩২ এএম
ঢাকা-টাঙ্গাইল-ঢাকা ব্রডগেজ ট্রেন সার্ভিস চালু

যুগান্তর রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০১৮, ১০:৪৪ এএম

ছবি: সংগৃহীত
আরও পড়ুন
ঢাকা থেকে টাঙ্গাইল পর্যন্ত কমিউটার ট্রেনের ‘টাঙ্গাইল এক্সপেস’ পরিবর্তে ব্রডগেজ রেল সার্ভিস চালু হয়েছে।
আগে কমিউটার ট্রেন চালু করলেও এখন থেকে কমিউটার ফরম্যাটের পরির্বতে ৬ কোচের ব্রডগেজ র্যাক দ্বারা পরিচালিত হবে এ সার্ভিস। আজ বুধবার থেকেই এই সার্ভিসের পরিবর্তন আনা হয়।
এ ছাড়া যে কমিউটার ট্রেনটি রয়েছে তা আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে তুরাগ এক্সপ্রেস তার নিজের র্যাক নিয়ে তুরাগ ১, ২, ৩, ৪ হিসাবে পুনরায় ঢাকা-জয়দেবপুর-ঢাকা চলবে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
ব্রডগেজ ট্রেনটি টাঙ্গাইল থেকে ঢাকা যাওয়ার সময় টাঙ্গাইলের ঘারিন্দা, মির্জাপুর, কালিয়াকৈর, জয়দেবপুর, বিমানবন্দর ও কমলাপুর স্টেশনে গিয়ে স্টপেজ দেবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ ট্রেনে শোভন দুটি, শোভন চেয়ার একটি, ফার্স্টক্লাস একটি, পাওয়ার কার একটি এবং লাগেজ ভ্যান প্লাস গার্ড ব্রেক একটি র্যাক থাকবে।
এ ট্রেনে শোভন দুটি, শোভন চেয়ার একটি, ফার্স্টক্লাস একটি, পাওয়ার কার একটি এবং লাগেজ ভ্যান প্লাস গার্ড ব্রেক একটি র্যাক থাকবে।
জানা যায়, ৬ কোচের ব্রডগেজ ট্রেনটি প্রতিদিন সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে ঢাকায় পৌঁছাবে ৯টা ৩০ মিনিটে।
আবার ঢাকা থেকে টাঙ্গাইলের উদ্দেশে প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে ছেড়ে আসবে এবং বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব রেলস্টেশনে রাত ৮টা ৫০ মিনিটে পৌঁছবে।
টাঙ্গাইল ঘারিন্দা রেলস্টেশন মাস্টার মো. জালাল উদ্দিন বলেন, বর্তমানে টাঙ্গাইল থেকে ঢাকায় প্রতিদিন আড়াইশ থেকে তিনশত যাত্রী যাতায়াত করে। এ ট্রেন চালু হওয়ায় টাঙ্গাইলবাসীর জন্য অনেক ভালো হয়েছে।
এখন থেকে আর কোনো যাত্রীকে হয়রানি কিংবা যাতায়াতের কষ্ট ভোগ করতে হবে না। আর এ ট্রেনের জন্য তিন ক্যাটাগরির ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব স্টেশন থেকে শোভন কোচ এর ভাড়া ১১৫ টাকা, শোভন চেয়ার ১৩৫ এবং ফার্স্টক্লাসে ১৮০ টাকা, ঘারিন্দা রেলস্টেশন থেকে শোভন কোচের ভাড়া ৯৫ টাকা, শোভন চেয়ার ১১৫ এবং ফার্স্টক্লাসে ১৫৫ টাকা এবং মির্জাপুর থেকে শোভন কোচের ভাড়া ৭০ টাকা, শোভন চেয়ার ৮৫ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে।
তবে ঢাকা-টাঙ্গাইল এ ট্রেনের যাত্রী সংখ্যা যদি দ্বিগুণ হয়, তবে এর বগি/কোচ বাড়ানো যায় কিনা সে বিষয়ে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে।