
প্রিন্ট: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১০:১৮ পিএম
সন্দ্বীপের সাবেক এমপি মুস্তাফিজ ও শিক্ষানুরাগী মোস্তাফিজুরের স্মরণে শোকসভা

যুগান্তর রিপোর্ট
প্রকাশ: ২০ অক্টোবর ২০১৮, ০৩:৪১ পিএম

সন্দ্বীপের সাবেক এমপি মুস্তাফিজ ও শিক্ষানুরাগি মোস্তাফিজুরের স্মরণে শোক সভা
আরও পড়ুন
সন্দ্বীপের সাবেক সংসদ সদস্য দ্বীপবন্ধু মুস্তাফিজুর রহমানের ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী ও বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমানের স্মরণে শোকসভা পালিত হয়েছে।
শুক্রবার বিকালে ঢাকার মতিঝিলের আদমজিকোর্ট রূপালী ইন্সুরেন্স কোম্পানি মিলনায়তনে এই শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়।
দুই কৃতী শিক্ষার্থীর সাবেক বিদ্যাপীঠ মুছাপুর বদিউজ্জামান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র পরিষদ, ঢাকা এই সভা আয়োজন করে।
স্মরণসভায় বক্তারা বলেন, বিজেড হাইস্কুলের প্রথম ব্যাচের এই দুই কৃতী শিক্ষার্থীকে তাদের কর্মের মাধ্যমে সন্দ্বীপের মানুষ আজীবন মনে রাখবেন।
সাবেক এমপি মুস্তাফিজুর রহমানের কারণে সন্দ্বীপ এখন গোটা বিশ্বে একটি সুপরিচিত দ্বীপ। সন্দ্বীপের আনাচ-কানাচ এই দ্বীপবন্ধুর উন্নয়নের ছোঁয়া লেগে আছে।
স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ ও মন্দিরসহ প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে মুস্তাফিজুর রহমানের অবদান আছে।
তার সুযোগ্য ছেলে মাহফুজুর রহমান মিতাও সন্দ্বীপের এমপি হিসেবে দলমত নির্বিশেষে অনেক বেশি জনপ্রিয়। তাই এবারও সন্দ্বীপের মানুষ তাকে এমপি নির্বাচিত করার জন্য কাজ করছেন।
অপরদিকে মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান ছিলেন সন্দ্বীপের মানুষ গড়ার কারিগর। তিনি একাধারে সন্দ্বীপের তিনটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন।
তার অসংখ্য ছাত্রছাত্রী এখন দেশ-বিদেশে প্রতিষ্ঠিত। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি লেখালেখিও করেছেন। তার দুটি বই প্রকাশিত হয়েছে। এগুলো হলো- ‘আমার হজ আমার ওমরা’ এবং ‘ভ্রমণ কাহিনি আমেরিকার পথে পথে’।
তিনি সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গেও জড়িত ছিলেন। সন্দ্বীপ থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও মুছাপুর ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন।
দুই মোস্তাফিজুর রহমান ছিলেন ঘনিষ্ঠ বন্ধু। দুজনই ছিলেন ক্ষণজন্মা।
স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন বিজেড হাইস্কুল প্রাক্তন ছাত্র পরিষদের সভাপতি মোহাম্মদ আলমগীর।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া, সহসভাপতি শফিকুল মাওলা শামীম, জামাল উদ্দিন, স্কুলের শিক্ষক মাওলানা আবু তাহের, মুজিব মাসুদ, একেএম দিদারুল আলম, সোবহান সামু, মাহবুবুর রহমান, গোলাম মোস্তফা, খালেদ সাইফুল্লাহ বকশি, মাওলানা মাসুদুর রহমান প্রমুখ।