গ্রী গ্লোবাল বাংলাদেশের পার্টনার সম্মেলন অনুষ্ঠিত
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২৫ এএম
বিশ্বের “নাম্বার ওয়ান” এয়ারকন্ডিশনার ব্র্যান্ড গ্রী এর পার্টনার সম্মেলন সম্প্রতি পাঁচ তারকা হোটেল রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গ্রী গ্লোবাল এর অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রেসিডেন্ট কেভিন বাই এবং গ্রী গ্লোবাল এর সেলস ডিরেক্টর রাইয়ান চ্যুং। দিনব্যাপী সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন সারাদেশের সকল পার্টনার ও চ্যানেল পার্টনারবৃন্দ। সম্মেলনের শুরুতে গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. নুরুন নেওয়াজ অংশগ্রহণকারী পার্টনার ও অতিথিবৃন্দকে স্বাগত জানান। তিনি দুই যুগেরও বেশী সময় ধরে বিশ্বসেরা গ্রী ব্র্যান্ডের পণ্য সামগ্রী দেশের ক্রেতা ও ব্যবহারকারীদের নিকট প্রচার, প্রসার, নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ ও বিক্রয়োত্তর সেবা প্রদানের জন্য পার্টনার ও শুভানুধ্যায়ীদের ধন্যবাদ প্রদান করেন।
তিনি আরও বলেন, “দেশের ইলেকট্রনিক্স খাতকে এগিয়ে নিতে বিশ্বের নাম্বার ১ ব্র্যান্ড গ্রী এর সাথে প্রযুক্তি শেয়ারিং মাধ্যমে কাজ করছে ইলেক্ট্রো মার্ট গ্রুপ। দেশের ক্রমবর্ধমান এসির চাহিদা পূরণ এবং সাশ্রয়ী মূল্যে বিশ্ব মানের পণ্য সরবরাহের জন্য গ্রুপটি নারায়ণগঞ্জে নিজস্ব কারখানা গ্রী এর পণ্য সামগ্রীর উৎপাদন করছে।”
সম্মেলনে শুভেচ্ছা বক্তব্যে ডিএমডি মোহাম্মদ নুরুচ্ছাপা বলেন, “বাংলাদেশে গ্রী এসি বিপণনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন পার্টনারবৃন্দ। গ্রী বর্তমানে বাংলাদেশেও নাম্বার ১ এবং সুপার ব্র্যান্ডের স্বীকৃতি অর্জন করছে। পার্টনাদের নিরলস পরিশ্রম, আন্তরিক সহযোগিতা এবং নিরবিচ্ছিন্ন ভালোবাসার ফলে এই অর্জন সম্ভব হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, গ্রী এর সকল কৃতিত্বের মূল দাবিদার সম্মানিত পার্টনারবৃন্দ এবং গ্রী গ্লোবাল এর সম্মানিত বিশেষ অতিথিবৃন্দ। এজন্য তিনি সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি গ্রী গ্লোবাল এর অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রেসিডেন্ট কেভিন বাই পার্টনারদের উদ্দেশ্য বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ, বর্হিবিশ্বে গ্রী’র সর্বোত্তম ব্যবসায়িক পার্টনার। তিনি গ্রী পণ্য বাংলাদেশি গ্রাহকদের নিকট সহজলভ্য এবং প্রসারের জন্য পার্টনারদেরকে বিশেষ ধন্যবাদ জানান। তিনি বিশ্বব্যাপী গ্রী পণ্যের সাফল্যের ইতিহাস এবং বর্তমান অবস্থান তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, “গ্রাহকদের কাঙ্ক্ষিত চাহিদা পূরণ এবং সাশ্রয়ী মূল্যে বিশ্বমানের পণ্য সরবরাহের কারণে গ্রী আজ গণমানুষের আস্থায় বিশ্বে নাম্বার ১। গ্রাহকদের বর্ধিত এই চাহিদা নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে পূরণের নিমিত্তে আমরা প্রযুক্তি শেয়ারের মাধ্যমে বাংলাদেশে কারখানা স্থাপন করছি।”
তিনি জানান, গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের কারণে বিশ্বব্যাপী উষ্ণতা বাড়ছে। বাংলাদেশও এই ঝুঁকিতে রয়েছে। পরিবেশের প্রতি দায়বদ্ধতার কারণে গ্রী প্রতিটি পণ্য উৎপাদনে পরিবেশ বান্ধব কাঁচামাল, যন্ত্রাংশ, কেমিক্যাল ও অন্যান্য উপকরণ ব্যবহার করা হয়। গ্রী এসি শূন্য মাত্রার কার্বন নিঃসরণ ও পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তির জন্য বৈশ্বিকভাবে সর্বোচ্চ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে। বাংলাদেশে তৈরি গ্রী এসি এবং বিদেশে তৈরি এসির মধ্যে কোনো ফারাক নেই। গ্রী এসি তৈরির ক্ষেত্রে প্রতিটি দেশের আবহাওয়ার কথা এবং গ্রাহকদের কাঙ্ক্ষিত প্রয়োজনের সঙ্গে মানানসই করে প্রস্তুত করা হয়। বাংলাদেশের পরিবেশে কার্বন নিঃসরণ মাত্রা শূন্য পর্যায়ে রাখতে এবং পরিবেশ সংরক্ষণের প্রয়োজনে গ্রী তার উদ্ভাবনী প্রযুক্তি ও পরিবেশ বান্ধব কাঁচামাল গ্রী এর প্রতিটি পণ্য ব্যবহার করছে।
গ্রী গ্লেবাল এর সেলস ডিরেক্টর রাইয়ান চ্যুং বলেন, “বর্তমানে বিশ্বব্যাপী গ্রী’র সেন্ট্রাল এয়ারকন্ডিশনিং সিস্টেম স্বল্প পরিসরে সহনীয় ব্যয়ের মাধ্যমে সর্বাধিক স্পেস এয়ারকন্ডিশনিং করা যায়। গ্রী’র ভিআরএফ, স্ক্রু চিলার, সেন্ট্রিফিউগাল চিলার এবং প্যাকেজড টাইপ এয়ারকন্ডিশনিং সিস্টেম বিশ্বের অধিকাংশ বৃহৎ কর্পোরেট অফিস, বহুতল ভবন, হাসপাতাল, বাণিজ্যিক ভবন, শপিংমল এবং শিল্প কলকারখানায় ব্যবহার করা হচ্ছে। গ্রী’র আবিষ্কৃত আধুনিক ওয়াটার কুলড ম্যাগনেটিক চিলার প্রযুক্তি ইন্ডাষ্ট্রিয়ালসহ বৃহৎ প্রকল্পের এয়ারকন্ডিশনিং কার্যক্রমকে করছে সহজলভ্য এবং পরিবেশ বান্ধব। গ্রী’র এই প্রযুক্তি ৭০% পর্যন্ত বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে।”
সম্মেলনে গ্রুপের এমডি মো. নুরুল আমিন বলেন, “এক সময় বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স খাত ছিল সম্পূর্ণ আমদানি নির্ভর। ইলেক্ট্রনিক্স ক্ষেত্রে শিল্প বান্ধব নীতির ফলে তা এখন স্ব-নির্ভর শিল্প খাতে পরিণত হতে চলছে। বিশ্বের নাম্বার ওয়ান গ্রী এসি এখন বাংলাদেশে উৎপাদন হচ্ছে। আমরা আশা করছি অচিরেই গ্রী ইলেকট্রনিক্স পণ্য বিদেশে রপ্তানি হবে মেইড ইন বাংলাদেশ পরিচয়ে।”
সম্মেলনে গ্রী এসির বিশেষ সুবিধা ও বৈশিষ্ট্য তুলে ধরেন গ্রুপের ডিএমডি মো. নুরুল আফছার। তিনি জানান, বিশ্বের প্রায় ১৬০ টিরও অধিক দেশে প্রায় ৬০ কোটির অধিক গ্রাহক গ্রী এসি ব্যবহার করছেন। গ্রী এসি ঘরের বাতাসের ভাইরাস ও ব্যাকটোরিয়া ধ্বংস করে ঘরের পরিবেশকে রাখে নির্মল, সুন্দর ও জীবাণুমুক্ত। ইলেকট্রনিক্স পণ্যের মধ্যে এসি এখন আর শৌখিন ও বিলাসজাত সামগ্রী নয়, গ্রী এসির সাশ্রয়ী মূল্য, গুণগত মান ও দীর্ঘস্থায়িত্বের কারণে বিশ্বব্যাপী এটি এখন মানুষের নিত্য পণ্য সামগ্রীতে পরিণত হয়েছে। গ্রী’ই বর্তমান বিশ্বে পরিবেশ বান্ধব এসি উৎপাদনে শীর্ষে। সম্প্রতি পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তি সমৃদ্ধ আরও নতুন কয়েকটি মডেলের গ্রী এসি বাংলাদেশের বাজারে প্রবেশ করছে। এছাড়া গ্রী’র সৌলার সিস্টেম প্রযুক্তি সমৃদ্ধ এসি ব্যবহারের মাধ্যমে জিরো বৈদ্যুতিক বিল এবং জিরো কার্বন নিঃসরণ সুযোগ রয়েছে।
সম্মেলনে ২০২৫ সালের বিপণন কার্যক্রমকে আরও গতিশীল ও সুদৃঢ় করতে গ্রাহকদের চাহিদা ও বাজার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দিক নির্দেশনামূলক আলোচনা করা হয়। সম্মেলনের শেষ পর্বে গ্রী বিজনেস মিট ২০২৫ কার্যক্রমের মাধ্যমে পরিসমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন কোম্পানির পরিচালক মোহাম্মদ সাজ্জাদ ঊন নেওয়াজ, নুরুল আজিম সানি, সিনথিয়া কায়নাথ নুর এবং বিক্রয় ও বিপণন জিএম মাহমুদুন নবী চেীধুরী সহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ।