আইপিডিআই ফাউন্ডেশন ও সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের উদ্যোগে সিপিআর প্রশিক্ষণ
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২৪, ১২:১৭ এএম
আইপিডিআই ফাউন্ডেশন ও সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের যৌথ উদ্যোগে সিপিআর প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের অডিটরিয়ামে আইপিডিআই ফাউন্ডেশন এবং সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের যৌথ উদ্যোগে অসংক্রামক রোগ বিষয়ক সচেতনতা ও সিপিআর প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশের সাননীয় প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন। গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের সম্মানিত সভাপতি এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন, এবং সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের সম্মানিত সেক্রেটারি শাহ মঞ্জুরুল হক।
অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ, আইপিডিআই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী এবং ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক ডা. মহসীন আহমদ।
অনুষ্ঠানে অসংক্রামক রোগ বিষয়ক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইপিডিআই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও অনুষ্ঠানের সভাপতি অধ্যাপক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, বাংলাদেশে হৃদরোগের প্রকোপ আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। এমতাবস্থায় হৃদরোগ বিষয়ক সচেতনতা ও প্রতিরোধই হতে পারে হৃদরোগের মূল প্রতিকার।
অনুষ্ঠানে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট ও সিপিআর বিষয়ক উপস্থাপনায় আইপিডিআই ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি জেনারেল ও প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ডা. মহসীন আহমদ বলেন, কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে আক্রান্ত ব্যক্তির জীবন বাঁচানোর পেছনে সিপিআরের ভূমিকা অনস্বীকার্য। উন্নতবিশ্বে এই গুরুত্ব সঠিকভাবে উপলব্ধ হয়েছে বিধায় সেখানে সিপিআর প্রশিক্ষণের ব্যাপারে সচেতনতা সহজেই প্রতীয়মান হয়।
অন্যদিকে আমাদের দেশে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট এবং সিপিআর সম্পর্কে জনসাধারণের ধারণা না থাকায় এ-ধরণের কোনো উদ্যোগ পরিলক্ষিত হয় না। এই সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ওঠার লক্ষ্যেই হেলো-আইপিডিআই ফাউন্ডেশন কাজ করে যাচ্ছে। কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে জীবন বাঁচায় সিপিআর, ঘরে ঘরে হোক এর ট্রেনিং সেন্টার এই অঙ্গীকার নিয়ে আমাদের আজকের এই কর্মশালার আয়োজন। আইপিডিআই ফাউন্ডেশনের মূল লক্ষ্য স্কুল ও কলেজের পাঠ্যক্রমে বেসিক লাইফ সাপোর্ট ও সিপিআর অন্তর্ভুক্ত করা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, সারা বিশ্বের অসংখ্য মানুষ কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। একটু সচেতন হলেই সিপিআরের মাধ্যমে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে আক্রান্ত ব্যক্তিকে বাঁচানো সম্ভব। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেড়ে চলেছে। আমাদের দেশও এর ব্যতিক্রম নয়। আইপিডিআই ফাউন্ডেশনের এমন সময়োপযোগী উদ্যোগ দেশব্যাপী একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন বলেন, যে কোন বিষয়ে সচেতনতাই হলো বড় প্রতিরোধ। দেশে অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে সার্বিক পর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধি অত্যন্ত জরুরি। আইপিডিআই ফাউন্ডেশনের এ ধরণের কর্মসূচির জন্য তাদেরকে আন্তরিক সাধুবাদ আনাই।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে একে সাফল্যমন্ডিত করায় দর্শক-শ্রোতাদের কাছে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমন্বয়ক, হেলদি হার্ট হ্যাপি লাইফ অর্গানাইজেশনের সভাপতি অ্যাড. এআরএম কাইউম খান অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
এ কর্মশালায় সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের প্রায় ৫০০ জন সদস্যকে সিপিআর প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।