কেয়ার বাংলাদেশের নেতৃত্বে জয়েন্ট অ্যাকশন ফর নিউট্রিশন আউটকামস (জানো) প্রকল্পের ‘জানো সাফল্য উদযাপন: পাঁচ ও অর্ধেক বছরের যাত্রার স্মৃতি’ শীর্ষক উদযাপন অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। এতে দেখানো হয় যে, উন্নত পুষ্টি কার্যক্রেম বাংলাদেশ একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক অর্জন করেছে।
এতে রংপুর ও নীলফামারী জেলার পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশু, গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী নারী এবং কিশোরী মেয়েদের মধ্যে অপুষ্টি মোকাবেলায় ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর জুন ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পের সাফল্য তুলে ধরা হয়। বুধবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়েে এই অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।
বাংলাদেশে পুষ্টি শাসনের উন্নতিতে প্রকল্পের অর্জন, চ্যালেঞ্জ, সর্বোত্তম অনুশীলন এবং ভবিষ্যত দিক নির্দেশনাও উঠে আসে এতে। এছাড়াও এই গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ভবিষ্যতে উদ্যোগ গ্রহণের সুযোগ তৈরির বিষয়ে ইঙ্গিত প্রদান করা হয় এই অনুষ্ঠানের মাধ্যেম। এই প্রকল্পের সহযোগী হিসেবে ছিলো ইউরোপিয় ইউনিয়ন, অস্ট্রেলিয়ান ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন এবং প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, খাদ্য মন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। আরও উপস্থিত ছিলেন, নীলফামারী ২ আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর এমপি, আইসিটি বিভাগের সচিব শামসুল আরেফিন, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ ইউনিট (এফপিএমইউ) মহাপরিচালক শহীদুল আলম এনডিসি, কেয়ার বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. শামিম জাহান, বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত এবং প্রতিনিধিদলের প্রধান চার্লস হোয়াইটলি সহ আন্তর্জাতিক ও জাতীয় বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ।
জানো-এর সিনিয়র টিম লিডার ড. মো. মিজানুর রহমান জানো-এর শিক্ষার উপর একটি উপস্থাপনা তুলে ধরেন। তিনি জানান, আমরা নারী, শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে খাদ্যতালিকাগত বৈচিত্র্যের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি লক্ষ্য করেছি। অধিকন্তু, আমাদের কমিউনিটি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে কমিউনিট স্বাস্থ্যসেবায় ৪,৮৩,৮৫৯ জন লোক সুবিধা গ্রহণ করেছে।
ইন্সপায়রা কনসাল্টিং-এর পরামর্শক জক বেকার তার উপস্থাপনায় জানান প্রকল্পটি আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে নারী এবং কিশোরী মেয়েদের অংশগ্রহণে ৩৮.৭% বৃদ্ধি পেয়েছে। উপরন্তু, কিশোর-কিশোরীরা পুষ্টি, স্বাস্থ্য, এবং স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষার বিষয়গুলি বোঝার এবং প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি দেখিয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রকল্পের মাধ্যমে কমিউনিটি সাপোর্ট গ্রুপ এবং স্কুল ম্যানেজমেন্ট কমিটি উল্লেখযোগ্য অবদান, বয়ঃসন্ধিকালের কর্নার এবং ক্লাবগুলো কার্যকর শেখার কেন্দ্র হিসাবে অবদান, নারী উদ্যোক্তারা সফলভাবে বিভিন্ন পণ্য সরবরাহ চেইনের সাথে সম্পৃক্ততা, বর্ধিত উৎদন এবং উচ্চ-মূল্যের পুষ্টিকর পণ্য এবং পরিষেবাগুলোতে সুযোগ গ্রহণ বিষয়গুলোও তুলে ধরা হয়।